ভারী বৃষ্টির জলজটে নাকাল নগরবাসীর দূভোগ নিরশনে দীর্ঘ পরিকল্পনা নিতে হবে
মিজানুর রহমান: ঢাকা শহর আজকের এই অবস্থায় এসেছে চারশত বছরে। এই শহরের চারদিক ব্যষ্টিত বুড়িগঙ্গা,শীতলক্ষ্যা, তুরাগ,বালুনদী, টঙ্গীখাল ও ধলেশ্বরী নদী। শহরের ভিতর প্রবাহমান অসংখ্য খালই ছিল পানি চলাচলের মাধ্যম। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও ভূমিদস্যুতায় অধিকাংশ খালই অস্তিত্ব সংকটে পড়ে।
কিছু খাল নর্দমা ও ময়লার ভাগারে পরিনত হয়। তার উপর অপচনশীল প্লাস্টিকবর্জ্য এই সকল খাল হত্যাকরে দখলদারদের হাতে তুলে দেয়। এই অবস্থায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতেই শহর পানির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে। পানি সরতে অনেক সময় লাগছে, বৃষ্টির পানি রাস্তা ডুবিয়ে আশপাশের দোকান বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা তলিয়ে দিয়ে নিদারুণ দুর্ভোগে ফেলছে জনগনকে।
খাল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ওয়াসা এই অবস্থা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা সিটি করপোরেশন এই দায়িত্ব বুঝে নেয়। তা ছাড়াও দক্ষিন সিটি করপোরেশন ৭১৫ কিলোমিটার এবং উত্তর সিটি করপোরেশন ১২০০ কিলোমিটার নর্দমা পরিস্কার করে পানি প্রবাহ চালু রাখার কাজ করে।
সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নিয়ে জরুরি ভাবে খাল দখল মুক্ত করে তার নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে প্রকল্প গ্রহন করে। বাস্তবত এখন পর্যন্ত এই কাজে আশানুরূপ ফল মেলেনি। গত ৬ জুন সকাল বিকেল দুই বারে মিলে ১১১মিলিমিটার বৃষ্টি হলে শহরের নানাস্থানে মারাত্মক আকারের জলজটের স্মৃষ্টি হয়।
সড়কের অনেক জায়গা ও অলিগলিতে এতোটা পানি জমে যে পথ শিশুরা সাঁতার কেটে হৈ-হুল্লোড় করতে থাকে আর কাজে বেরুনো মানুষ দুঃখ কষ্টে অতিষ্ট হয়ে চরম বিরক্ত ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। সারাবছর বিভিন্ন সেবা সংস্থা তাদের কাজ করতে এসে নানা ধরনের খানাখন্দের সৃষ্টি করে।
তলিয়ে যাওয়া এইসব খানাখন্দে নারী শিশু পথচারী লোকজন ও নানাধরণের যানবাহন মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়ে। যানবাহনের চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি করে শহরে স্থবিরতা সৃষ্টি করে। আমাদের নগর পিতাগন এর থেকে পরিত্রাণের কথা বললেও নগরবাসি কিছুতেই আস্থা রাখতে চায় না। এই সংকট থেকে বাঁচত হলে দ্রুত কাজ করে খালগুলো পূর্ণ প্রবাহে ফিরিয়ে এনে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে হবে।
মিজানুর রহমান , সভাপতি বাংলাদেশ পথ নাটক পরিষদ।