পাকিস্তানের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ৬ দফা ছিলো বাঙালির মুক্তির সনদ: আমির হোসেন আমু্
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, ছয় দফা ছিল বাংলার মুক্তির সনদ, যা ধাপে ধাপে ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ছয় দফা দাবির স্বপক্ষে ১৯৯৬ সালের ৭ জুন হরতালকে কেন্দ্র করে রক্তদানকে সবাই মনে করে স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য বাঙালির প্রথম রক্তদান।
রোববার এক ভিডিও বার্তায় ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির শুরু থেকেই পাকিস্তানের জনসংখ্যার শতকরা ৫৬ জন, বাঙালিরা কোনোদিন তাদের স্বাধীকার ভোগ করতে পারেনি। এক ধরনের ঔপনিবেশিক শাসন এবং শোষণ পূর্ব বাংলার ওপর চাপিয়ে রাখা হয়েছিল এবং শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই জিনিষটি অনুধাবন ও চিহ্নিত করে এই দুঃশাসন থেকে মুক্তির দিশারী হিসেবে ছয় দফা দাবি প্রনয়ণ করে জনগণের সামনে বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ঐতিহাসিক ছয় দফা বাঙালির মুক্তির পথ দেখিয়েছে, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছে উল্লেখ করে, আমির হোসেন আমু ৭ জুন মুক্তির সনদ দাবি আদায়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে ভিডিও বার্তায় আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।