গণভবন এখন মৃত্যুপুরী

গণভবন এখন মৃত্যুপুরী

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজধানীর ঢাকার শেরেবাংলা নগরে গড়ে তোলা গণভন এখন আর দৃষ্টিনন্দন নেই। ১৫ একর আয়তনের গণভবনটি এখন যেন মৃত্যুপুরী। ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীর বুকে গণভনে লন, বাগান, ক্ষেত, পুকুর– এমন কিছু নেই যা ছিল না। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গণভবনে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এর একদিন পর গণভবনে নিরাপত্তায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হলেও কিছুই যেন আগের মতো নেই। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শুধুমাত্র নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু গণভবনের ভেতরের ব্যাপক ভাঙচুর আর লুটপাট হওয়ার পর কোনো কিছুতেই হাত দেওয়া হয়নি। যেহেতু গণভবনের চারপাশের দেওয়ালগুলোর বেশিরভাগই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে বাইরে থেকে অনেকটা আচ করা যাচ্ছে ভেতেরর পরিস্থিতি। দেখে যেন মনে হয়, গণভবন এখন মৃত্যুপুরী। কেউ যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারেন এটুকুই নিরাপত্তায় দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এর বাইরে কোনো কিুছুতে কেউ হাত দেননি। এখন হতে যাচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর। জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি, শহীদদের স্মৃতি এবং বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যত অন্যায়, অবিচার হয়েছে, সব স্মৃতিকে সংরক্ষণ করার জন্য গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এক সময় গণভবনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দলীয় নেতাকর্মী, সিনিয়র নাগরিক, সামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল। পুরো এলাকাই থাকতো কর্মচাঞ্চল্য। বেশিরভাগ সময়েই ভেতরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য সামিয়ানা টাঙানো থাকতো। সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ গণভবনের গেটে অনেকেই বসে থাকতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতের অনুমতির অপেক্ষায়। কেউ কেউ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন শেখ হাসিনার সাক্ষাতের অপেক্ষায়। গণভবনের অপজিটে থাকতো দামি দামি গাড়ির লাইন। গণভবনের চারপাশে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পরিস্থিতি ছিল কেউ ঢুকছেন কেউ বের হচ্ছেন। নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা বাহিনী তাদের চেক করছেন। কিন্তু এখন যেন সব কিছুই হাহাকার করছে। নেই জনমানবের কোনো কোলাহল। কয়েক স্তরের নেই নিরাপত্তা। গণভবনের দেয়ালগুলো ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দেয়ালের যেখানে ভাঙ্গা সেখানে কাটাতার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। গণভবনের মূল গেটটি রয়েছে আটকানো। মূল গেটটি যে দীর্ঘদিন ধরে খোলা হয়নি সেটিও আচ করা যাচ্ছে বাইরে থেকে। ভেতরে সেনা সদস্যরা পাহারায় রয়েছেন। মূলগেটের সামনের অংশে গাছের পাতা আর ধুলোবালিতে ভরে গেছে। কোথাও কোথাও স্যাঁত স্যাঁতেভাব দেখা গেছে। আগে যেখানে বালুর কনাটাও পর্যন্ত দেখা যেত না। কিন্তু সেখানে এখন ময়লার স্তুপ। মূল গেটের উত্তর পাশেই বড় একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ শিকরসহ উপড়ে পড়ে রয়েছে। ফলে কৃষ্ণচূড়া গাছের ডালপালায় মূলগেটের সামনের অংশটা ঢেকে রয়েছে। চারপাশের দেওয়ালগুলো ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে। বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে ভেতরের ঘাসগুলো তরতর করে বেড়ে উঠেছে। সবখানেই বন জঙ্গল। তবে সাকেব প্রধানমন্ত্রীর লাগানো বিভিন্ন গাছগাছালিগুলোও সবুজ হয়ে উঠেছে।

গণভবনের ভেতরে বিশাল লন ছাড়াও রয়েছে দুটি গোলাপ বাগান, দুটি বারোয়ারি ফুলের বাগান, ফলজ বাগান। সেখানে শেখ হাসিনার উদ্যোগে সবজিসহ নানা ফসল চাষ হতো। ৫ আগস্ট তার সব কিছুই লটুপাট হয়ে গেছে। কিন্তু লুটপাট হওয়ার পরেও কিছু কিছু গাছ থেকে গেছে। সেগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে। গণভবনের উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি লেক। লেকের পশ্চিম দিকে রয়েছে শান বাঁধানো ঘাট। এই লেকেও মাছ চাষ করতেন শেখ হাসিনা। লেকে রুই, কাতল, তেলাপিয়া, চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হতো। সেই লেকের পানিও শুকিয়ে গেছে। নেই কোনো পরিচর্যা। লেকের পাশেই ছিল রাজা হাঁসের খাঁচা। সেখানেও দেখা মেলেনি কোনো রাজা হাঁসের। এছাড়াও গণভবনের বিশাল আঙিনায় হাঁস-মুরগি, কবুতর, গরু পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ধান, শাক-সবজি, ফুল-ফল, মধু ও মাছ চাষ করতেন শেখ হাসিনা। ভবনের ভেতরে মূল ফটকের পাশে আলাদা একটি ভবন রয়েছে। সেখানে সাংবাদিকদের জন্য স্থাপিত হয় প্রেস সেল। এই ভবনে সাবকে প্রধানমন্ত্রীর সব কর্মকর্তা, নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসএসএফ, পিজিআর, আর্মড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্যও আলাদা আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য সচিব, সামরিক সচিবের জন্য করা হয় আলাদা অফিস ভবন। নতুন করে তৈরি করা হয় ১৩০ আসনের একটি ব্যাংকোয়েট হল। গণভবনের মুল ভবনের ওপর ও নিচতলা মিলিয়ে আয়তন ৩৭ হাজার বর্গফুট। ব্যাংকোয়েট হল নির্মাণ শেষে মোট আয়তন দাঁড়ায় ৫৭ হাজার বর্গফুটে। দোতলা গণভবনের ওপর-নিচ তলায় রয়েছে বিশাল সাইজের ছয়টি কক্ষ। ওপর তলায় আছে ৫টি স্যুইট এবং নিচতলায় আছে ৬টি স্যুইট। ওপর তলায় একটি কনফারেন্স লাউঞ্জ রয়েছে, নিচতলায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর অফিস কক্ষ। শরীর চর্চার জন্য একটি ব্যয়ামাগারও রয়েছে ভবনে। গণভবনের ভেতরে হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য রয়েছে হেলিপ্যাড। গণভবন রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জন্য ৪ একর এবং কর্মচারীদের আবাসনের জন্য ৩ একর জায়গায় ভবন রয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যায়। এতে কওে তার কোনো কিছুরই উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। বরং গণভবনের উত্তর-দক্ষিণ পাসের দেওয়ালগুলো ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গণভনের পূর্ব পাসেই চন্দ্রিমা উদ্যান। পাশেই সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধী।

গণভনে নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, ভেতরে ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। আমরাও ভেতওে ঢুকি না। শুধুমাত্র কেউ যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারেন, সেইটুকু দায়িত্ব পালন করছি। তবে ভেতরে শুধু দেওয়াল ছাড়া আর কিছুই নেই। জানালা, দরজা, পর্দার কাপড়, চেয়ার, টেবিলসহ কোনো আসবাবপত্রই নেই। সব কিছুই লুট করে নিয়ে গেছে। ভেতরে শুধু খা খা করছে। ভেতরে ঢুকলে আমাদের কাছেও মনে হয় গণভবন এখন মৃত্যুপুরী।

এদিকে, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সরকার প্রধানের বাসভবন হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে গড়ে তোলা হয় গণভবন। পরে এটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা হিসেবে ছিল। ভবনটি নির্মাণের অর্ধ শতক বছর পেরিয়ে এখন জাদুঘর হতে যাচ্ছে এই বাড়িটি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে এই বাড়িটির নাম ও মর্যাদার বদলও ঘটতে যাচ্ছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গণভন হবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আত্মদানের স্মরণে জাদুঘর। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানকে নির্দেশ দিয়েছেন, গণভনটি জাদুঘর রূপান্তরে বিশেষজ্ঞ যারা আছেন, স্থাপত্যবিদদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার। যাতে করে আয়নাঘরে যারা বন্দি ছিলেন, তাদের প্রতি কী ধরনের নির্যাতন হয়েছে, তা মানুষ এ জাদুঘর পরিদর্শন করলে যেন জানতে পারে। ৫ আগস্ট পরবর্তী আমরা দেখেছি রাষ্ট্রের নাগরিকদের একটি গোপন জায়গায় বন্দি করা হয়েছিল এবং তাদের দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই আয়নাঘরের রেপ্লিকা বা জাদুঘর হবে। প্রধান উপদেষ্টা মনে করেছেন, সেখানে যদি এর একটা রেপ্লিকা রাখা হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনেকেই গণভবন দেখতে যাবে। গত ১৫ বছরের নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞের একটি প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে, এই সিম্বল যখন দেখতে যাবে, তখন এই সময়টায় আরও যত নির্যাতন হয়েছে, এরমধ্যে সিক্রেট প্রিজন একটি বড় বিষয়, সেখানে যদি এটাকে সংযুক্ত করা যায়, তাহলে এই নির্যাতনের বিষয়ে আরও ভালোভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি বার্তা দেওয়া যাবে। যাতে এখানে আয়নাঘরের একটি রেপ্লিকা রাখা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে আছে এই গণভবন। অতিথি হিসেবে আরও রাষ্ট্রনেতাদের স্মৃতিও জড়িয়ে আছে এই ভবনটি ঘিরে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিন্টো রোডের প্রেসিডেন্ট হাউজে অফিস করতেন। তখন ওই ভবনটি পরিচিত ছিল গণভবন নামে। সেই ভবনটি পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধা হয়েছিল। এখন সেটি ফরেন সার্ভিস একাডেমি। তখন প্রেসিডেন্ট ভবন আকারে ছোট ছিল বলে বঙ্গবন্ধুর কার্যালয়ের চাপ সামলাতে পারছিল না, তাই ১৯৭৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও সচিবালয় হিসেবে শেরেবাংলা নগরে এই গণভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তৎকালীন সময়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কয়েকজন স্থপতি মিলে নকশাটি করেন। তখন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন খবিরুদ্দীন বেগ। নির্মাণ কাজের তদারকি করেন স্থপতি আমির হোসেন। গণভবন নির্মিত হলেও বঙ্গবন্ধু কখনও এই ভবনে রাত কাটাতেন না। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে নিজের বাড়িতেই সপরিবারে থাকতেন তিনি। তবে গণভবনে সান্ধ্যকালীন অফিস করতেন বঙ্গবন্ধু। সেখানে তিনি বিদেশি অতিথি, কূটনীতিকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ দিতেন। তখন সংসদ ভবন নির্মাণ হয়নি। জাতীয় সংসদের কাজ চলত তেজগাঁওয়ে, যেটি এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গণভবনে তখন প্রধানমন্ত্রীর সচিব, রাজনৈতিক সচিব, কেবিনেট সচিব, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব এবং বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের অফিস ছিল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর গণভবনে কার্যক্রম অনেকটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ১৯৮৫ সালে এইচ এম এরশাদ সরকার গণভবন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। সংস্কার শেষে ১৯৮৬ সালে ভবনের নাম পরিবর্তন করে ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন করতোয়া’ হয়। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এই ভবনেই রাতযাপন করেন। ১৯৮৮ সালে আরেক দফা সংস্কারের পর এরশাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং কাজী জাফর আহমেদ সেখানে অফিস করতেন। তখনকার রাষ্ট্রপতি এরশাদ দুই ঈদের সময় গণভবনে সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর অতিথিশালা হিসেবেই থাকে গণভবন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাবার স্মৃতিবিজড়িত গণভবনেই ওঠার সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভবনটিতে ওঠার পর বাড়িটি নিজের করে নেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এক সিদ্ধান্তে ১ টাকার বিনিময়ে গণভবন ইজারা বা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তাকে, যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা ওঠে। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের বিদায়ের পর লতিফুর রহমান নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই শেখ হাসিনার নামে গণভবনের ওই বরাদ্দ বাতিল করে দেয়। এরপর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গণভবনের নাম পাল্টে ‘প্রাইম মিনিস্টারস্ অফিস’ করেছিলেন। তিনি ওই অফিস ব্যবহার না করলেও দুই বার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ গণভবনে উঠবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে অবশ্য, তিনি গণভবনে ওঠেননি, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উঠেছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গণভবনে ওঠেন। এই দফায় ব্যাপক সংস্কার করা হয় ভবনটিতে।

এস/এ