টঙ্গীতে ৪ সহোদর ভাইকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা

টঙ্গীতে ৪ সহোদর ভাইকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। গাজীপুরের টঙ্গীতে তুচ্ছ ঘটনা এবং পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে একই পরিবারের চার সহদর ভাইকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার রাত নয়টার পর স্থানীয় টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর সরকার বাড়ি রোড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে গতকাল রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আতাউরের ছোট ভাই মিজান আহমেদ।

হামলায় গুরুতর আহত ৪ ভাই হলো পোশাক শ্রমিক আতাউর রহমান (৪২), চাকুরীজীবী মিজান আহমেদ (২৯), ব্যবসায়ী আপন (২৫) ও সাগর ( ২২) পূর্ব আরিচপুর এলাকার স্হায়ী বাসিন্দা। তাদের পিতার নাম মৃত এন্তাজ মিয়া।

মামলার অভিযোগ ও ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, টঙ্গির পূর্ব আরিচপুর গ্রামে বাড়ির পানির লাইনের মোটর স্থাপনকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত সালাম উরফে কুত্তা সালামের সাথে কিছু দিন যাবৎ মনমালিন্য চলে আসছিল ভুক্তভোগী আতাউরের।

সম্প্রতি পানির লাইন মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করার চেষ্টা করলে বিনা কারনে বাঁধা দেয় সালাম।

এবিষয়ে জানতে সালামের বাসার সামনে গেলে তার নেতৃত্বে অভিযুক্তরা আতাউরের উপরে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি, ছোরা ও লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে।

আতাউরকে উদ্ধার করতে তার ছোট ভাই মিজান এগিয়ে গেলে তাকেও বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানকে চিকিৎসা দিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য আতাউরকে ঢাকার আগারগাঁরস্হ পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

মিজানের মাথায় ২০ এর অধিক সেলাই লেগেছে, আতাউরের এক হাতও আপনের পা ভেঙ্গে গেছে, এছাড়া সাগরের পিঠে আঘাতের দাগ রযেছে। এঘটনার পর তারা সকলে ভয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

জানা গেছে, টঙ্গি প্রেস ক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্হা (বাসস) এর ঢাকা উত্তর নিজস্ব সংবাদদাতা এস, এম, মনির হোসেন জীবনের বড় বোন আমেলা খাতুনের টঙ্গী পূর্ব আরিচপুরে র বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলাকারিরা সাংবাদিকের বোনের বসত বাড়িতে অনাধিকারের সংবদ্ধ হয়ে প্রবেশ করে। এরপর প্রথমে তারা গমর পানি ছুড়ে মারলে এতে কয়েকজনের শরীর সামান্য ঝলসে যায়।
মারামারি ও ঝগড়া থামাতে গিয়ে কয়েকজন রক্তাক্ত হয়।

ভুক্তভোগী ও আহতরা জানান, স্হানীয় বাড়ির মালিক সালাম ওরফে কুত্তা সালামের নেতৃত্বে সালমা (৪৯), ইয়াসীন (২৭) সিফাত ( ২১), রিতু (৩০), বিল্লাল (২৫) গংরা এই হামলা চালায়।

এই হামলার বিষয়টি গত রাতে টঙ্গি পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম ও র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১) এর নবাগত (অধিনায়ক)কে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

টঙ্গি পূর্ব থানার পুলিশের উপ- পরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী এই প্রতিবেদককে জানান, ঘটনাটি আমি জেনেছি। এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছি। আমি এক পক্ষকে আজ সন্ধ্যায় ডেকেছি। শুনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করবো।

স/এষ্