হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পূজা উদযাপন পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল

হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পূজা উদযাপন পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল

আর কে আকাশ, পাবনা প্রতিনিধি|| পাবনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মন্দির-বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। বেলা ১১টায় আব্দুল হামিদ রোডে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পাবনা জেলা শাখার আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি রোটা. প্রভাষ চন্দ্র ভদ্র, সহ-সভাপতি প্রভাস ঘোষ দুখু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর কমল চন্দ্র সরকার, পৌর সাধারণ সম্পাদক জিতু সরকার, সদস্য রমেশ ঘোষ, অলোক পাল, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট পাবনা জেলা শাখার আহ্বায়ক আশিষ বসাক, বাংলাদেশ হিন্দু যুব মহাজোট পাবনা জেলা শাখার আহ্বায়ক শুভ বসাকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ চলাকালে বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের ৫৩টি জেলায় হামলা হয়েছে। আমাদের মন্দির-ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে এবং মা-বোনদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এই হামলা-লুটপাটের বিচার চাই।

এসময় ঢাকার শাহবাগের আন্দোলনে হিন্দুদের পক্ষ থেকে আট দফা দাবির সাথে সহমত পোষণ করা হয়। শাহবাগের আন্দোলনের দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি প্রদান, ‘সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে, অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে এবং বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে, ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে, ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে।

স/এষ্