রাজধানীতে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গুলি, আহত-৫
বিশেষ প্রতিনিধি ।। রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এতে ৫/৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের ফটকের প্রবেশ গেটের সামনে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী, পথচারী, ব্যবসায়ী ও স্হায়ীয় লোকজন এই প্রতিবেদককে জানান, এসময় বহিরাগতদের প্রবেশে বাধা দিলে কর্মকর্তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বহিরাগতরা।
এতে ইসলামী ব্যাংকের গোডাউন গার্ড (ডিজি) শফিউল্লাহ সরদার, অফিসার মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকী বিল্লাহসহ কমপক্ষে ৫/৬ জন কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। বাকি ২ জনের নাম জানা যায়নি। আহতরা সবাই ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দাবি করেন, এস আলম গ্রুপের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। অবিলম্বে ব্যাংকের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিচার চেয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচছুক ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, জামানতবিহীন, অনিয়ম করে লোন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা আজ রোববার সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তখন আকস্মিকভাবে বহিরাগত প্রায় শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের প্রবেশে বাধা দিলে বহিরাগতরা অস্ত্র বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এসময় পাঁচ কর্মকর্তা আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়া মানবসম্পদ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়।
পরে উপস্থিত কর্মকর্তারা পাল্টা ধাওয়া দিলে তারা কৌশলে পালিয়ে যান। কয়েকশো বহিরাগত জোর করে ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সরকার পতনের পর ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকে অস্থিরতা শুরু হয়। ওই দিন রাজধানীর দিলকুশায় ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কর্নার ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ কিছু কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের এভিপি সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘এস আলমের নিয়োগপ্রাপ্ত ডিএমডি মিফতাহ পিস্তল দিয়ে গুলি করেছে। এতে আমাদের ৫/৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি করে বলেন, ‘এস আলম গ্রুপের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা ও গুলি চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ সহ আহত হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন তার অনুসারী নিয়ে এস আলম গ্রুপের হয়ে এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে জানতে ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
স/এষ্