বেনাপোলে বর্ষায় ছাতা মেরামতকারিদের কদর বেড়েছে
মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি ।। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারনে (নিন্ম চাপের) বর্ষায় ছাতা মেরামতকারিদের কদর বেড়েছে। ছাতা মেরামতকারিদের দোকানে লাইন দিয়েও কাজ করতে হচ্ছে।
বেনাপোল বাজারও উপজেলার সকল হাটবাজারে বর্ষাকালে এদের চাহিদা রয়েছে প্রচুর । সাধারণত বৃষ্টি হলে ভীড় বেশি দেখা যায়, ছাতা মেরামতকারিদের দোকানে। এছাড়া রৌদ্র বেশি দেখা গেলেও অনেকে ছাতা ব্যবহার করে থাকেন।
শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌরসভা হাটবাজারে সরজমিনে দেখা যায় ২ থেকে ৪ জন ছাতা মেরামতকারির দোকানে ভীড় লেগেই আছে। তবে যাদের চাহিদা বেশি সেখানে ভীড়ও বেশি।
আবার অনেকে কাজের চাপের কারণে ছোট ছোট কাজ করছেন না। আবার কাজের চাপের কারণে ছাতা মেরামতকারির দোকানে সিরিয়াল মেনটেইন করতে হচ্ছে।
বেনাপোল বাজারে ছাতা মেরামতকারি আবুল হোসেন বলেন তিনি চল্লিশ বছর ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করছেন। এই কাজটার উপরে এক প্রকার সংসার চলে। তিনি বলেন বৃষ্টি বেশি হলে কাজের চাপ বেড়ে যায়। লাইনে লোক থাকে ছাতা মেরামত করার জন্য।
ছোট ছোট কাজ তিনি করার সময় পাননা। ছাতার ত্রুটি অনুপাতে টাকার পরিমান নির্ধারণ করে থাকেন। তবে তিনি বলেন মেরামতের মজুরি হিসাবে ৩০ থেকে ৮০ টাকা নিয়ে থাকেন। আর নতুন কোন কিছু ছাতার লাগানো হলে তার দাম পৃথকভাবে পরিশোধ করতে হয়।
ছাতা মেরামত করতে আসা ১নং ওয়ার্ডের সাদিপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন ছাতা দিয়ে লাইনে আছি তার হাতের কাজ শেষ হলে আমার ছাতায় হাত দিবেন বলে জানিয়েছেন। মেরামতকারি জানান দৈনিক ছাতা মেরামত করেন ৩০ থেকে ৪০টি।
বেনাপোল পৌরসভার বাজারের ছাতা মেরামতকারি বেনাপোল ৩নং ওয়ার্ডের গ্রামের বাসিন্দা চন্দন কুমার জানান তিনি প্রতি হাটবারে বসেন, প্রাণকেন্দ্র অগ্রণী ব্যাংকের নিচে।
এখানে প্রতি হাটবারে ৩০ থেকে ৪০টি ছাতা মেরামত করেন। তিনি ছোট বড় সব ধরনের কাজ করেন। মজুরি হিসাবে সর্ব নিম্ন ১০ টাকা আর ছাতার ত্রুটি অনুযায়ী ৪০ থেকে ১০০টাকা নিয়ে থাকেন। বহুদিন যাবত এ পেশার সাথে জড়িয়ে আছেন বলে জানান।
পুকুরপাড় মসজিদের পাশে ছাতা মেরামতকারি আব্দুল জানান তিনি পেশায় এক ছাতা মেরামতকারি এর সাথে চাবি ঠিক করেন। মূল পেশা ছাতা মেরামতকরা। বহুদিন যাবত এ পেশায় জড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন বর্ষা হলে এই কাজ বেশি হয়, আর রৌদ্র বেশি হলে কাজ হয়।
ছাতার কিছু নতুন মালামালাও রেখেছেন প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে উপকরণের দাম ছাড়াও মজুরী আলাদা নিয়ে থাকেন। দৈনিক ৪০ থেকে ৫০টি বা তার কম কোন সময়ে ছাতা মেরামত করেন। তিনি বলেন বর্ষা হলেই তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় সিরিয়াল মেনটেইন করতে হয়।
এদিকে ছাতা ব্যবসায়ীরা জানান বর্ষাকালে তাদের ছাতা বিক্রী বেড়ে যায়। চন্দ্রিমা কসমেটিক্স এর মালিক মাহবুবুর রহমান বলেন বর্ষাকালে ছাতা বেশি হয় এবং এ সময়ে বিভিন্ন ডিজাইনের ছাতা তারা দোকানে বিক্রীর উদ্দেশ্যে দোকানে মজুত রাখেন।
চুরি পট্টি বিপ্লব কসমেটিক্স স্টোরের মালিক জানান বর্ষাকালে ফল্ডিং ছাতা বেশি বিক্রী হয়। এই ছাতার মূল্য তিনশত পঞ্চাশ বা চারশত টাকা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানির ছাতার মূল্য ভিন্ন রকমের।
স/এষ্