সংখ্যা বেশি দেখাতে গিয়ে যেন নিরাপদ কাউকে গ্রেফতার করা না হয়

সংখ্যা বেশি দেখাতে গিয়ে যেন নিরাপদ কাউকে গ্রেফতার করা না হয়

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,

গণগ্ৰেফতারের নামে কোন নিরাপদকে হ্যারাজ করা যাবে না। গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেশি দেখানোর জন্য কেউ যেন সেই হয়ে নিরাপদ কাউকে গ্রেফতার করা না হয় সে সে ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহানগর উত্তর দক্ষিণসহ সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার শুরুতেই সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের স্মরণে দোয়া করা হয়।

 

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরাপদ শিশুদের আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা রয়েছে, যাতে করে নিরীহ শিশুরা আটক না হয়। স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ আমাদের দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে হবে।

 

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের সভায় জামায়তের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত সোমবার গণমাধ্যমকে অবহিত করেছি। জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দল দাবি করে আসছিল। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। গণজাগরণ মঞ্চের দাবিও ছিল জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী নিবন্ধন না থাকলে কোনো দল নির্বাচন করতে পারবে না। জামায়াত শিবির নানা রকম অপরাধের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ১৪ দলের শরিকদের বক্তব্য, বর্তমান কর্মকাণ্ড বিভিন্ন সময় দেওয়া আদালতের রায়, সবকিছু বিবেচনায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষেধের সর্ব সম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন সরকার বাকি সিদ্ধান্ত নেবে। আইনি ফাঁকফোকর দেখে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে যাতে আর কোনদিন জামায়াত শিবিরের রাজনীতি করার সুযোগ না পায়।

 

 

কারফিউ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দলীয়ভাবে সতর্ক থাকার জন্য নেতা কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। গুজব আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। গুজব সৃষ্টিকারীদের তথ্য আইন প্রকারী সংস্থাকে জানাতে হবে।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন করতে চাই। এই ধ্বংসযজ্ঞ কারা চালালো। কারা এই রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করলো। এই ঘটনা প্রবাহ আমি পরিষ্কার বলতে চাই এই ঘটনা প্রবাহে আওয়ামী লীগের লোকেরা আক্রান্ত। আমরা আক্রমণ করেনি। আমাদের নেতা কর্মীদের কাউকে অস্ত্র দিয়ে আমরা তো আক্রমণ করতে বলিনি। ফখরুল সাহেব এগুলো কি আমরা করেছি? নরসিংদীর কারাগার থেকে অস্ত্র গুলি কারা নিয়ে গেল। আপনাদের বন্ধু আপনাদের দোসর, তাই তাদের পক্ষে কথা বলছেন। ফখরুল মিথ্যার বেসাতি করছেন। শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছেন। তারা তাদের আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কারা কিভাবে অর্থ দিয়েছে আমরা জানি। সব ষড়যন্ত্র আমাদের কাছে দিবালোকের মত স্পষ্ট। জাতিকে বিভ্রান্ত করার আর কোনো সুযোগ নেই।

 

তিনি বলেন, আজকের দিনটি রাষ্ট্রীয় শোক দিবস নয়। এটা সরকারিভাবে শোক পালন।

তিনি আরো বলেন, শোকাবহ মাস আগস্ট উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা দলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালন করবে। ইতিমধ্যে কর্মসূচি জমা দেওয়া হয়েছে। ‌

 

এ যৌথ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলী সদস্য ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ডাক্তার দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, এবিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

 

এস/ এ