মোরেলগঞ্জে জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক
এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট ।। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ফেরির পূর্ব পাশের পল্টুনের সংযোগ সড়ক ডুবে গেছে।
রবিবার (২৮ জুলাই ) দুপুরে জোয়ারে পানগুছি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সংযোগ সড়কটি ডুবে যায়। ২ ঘণ্টার বেশি সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকে সড়কটি। রাত ১টার দিকের জোয়ারেও একইভাবে ডুবে যায় সংযোগ সড়কটি। গেল ৫দিন ধরে নিয়ম করে প্রতি জোয়ারে ডুবছে ফেরির সংযোগ সড়ক।
এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অতি দ্রুত সংযোগ সড়কটি উঁচু করে ভোগান্তি নিরসনের দাবি জানিয়েছেন যানবাহন চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইউনুস শেখ নামের এক পিকআপ চালক বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক ডুবে যায়। ফেরিতে উঠতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। লবণ পানিতে গাড়ির ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়।
বুলু নামের এক ব্যক্তি বলেন, গেল চারদিন ধরে প্রতি জোয়ারে দুই তিন ঘণ্টা ধরে পানিতে নিমজ্জিত থাকছে সংযোগ সড়কটি। ফেরি পারাপারে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে, অনেক সময় পানিতে ভিজে যেতে হয়। আর খানাখন্দের মধ্যেও পড়তে হয় আমাদের। অতি দ্রুত এটা ঠিক করা দরকার।
আবু রাজ্জাক নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই ফেরির সংযোগ সড়ক ডুবে যায়। আসলে এর একটা স্থায়ী সমাধান দরকার। আর কতদিন মানুষ ভুগবে। যেভাবে হোক ফেরি চলাচল, ফেরিতে মানুষ ওঠানামা ও যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে।
এদিকে সড়ক বিভাগ বলছে, নদীতে সব সময় একই পরিমাণের পানি থাকে না, কখনও অনেক বেশি, আবার কখনও অনেক কম পানি থাকে নদীতে। যার কারণে ও সংযোগ সড়ক বেশি উঁচু করা যায় না।
সড়ক বিভাগ, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানির বিষয়টি মাথায় রেখে সংযোগ সড়ক যদি অনেক উঁচু করা হয়, তাহলে ভাটার সময় পল্টুনে যানবাহন ও পথচারীদের ওঠানামায় সমস্যা সৃষ্টি হয়।
জোয়ার ও ভাটা দুটি বিষয় মাথায় রেখে সংযোগ সড়ক ও পল্টুন করতে হয়। জোয়ার ও ভাটার কারিগরি বিষয় মাথায় রেখে সংযোগ সড়কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে পূর্নিমার জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে যে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স/এষ্