মন্ত্রীদের উপস্থিতি কম ছিল সচিবালয়ে, প্রবেশে কড়াকড়ি

মন্ত্রীদের উপস্থিতি কম ছিল সচিবালয়ে, প্রবেশে কড়াকড়ি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতা ও কারফিউয়ের মধ্যে তিন দিন সাধারণ ছুটিসহ ৫দিন পর প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় খুললেও বুধবার মন্ত্রীদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, গণপূর্ত মন্ত্রী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রীসহ মাত্র ৯ থেকে ১০ জন মন্ত্রী সচিবালয়ে অফিস করেছেন।

বুধবার সচিবালয়ে ঘুরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি দেখা গেলেও ছিল না কোন দর্শনার্থী।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বুধ ও বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস চলবে।

বুধবার সচিবালয়ের এক এবং দুই নম্বর গেটে আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। অভ্যর্থনা কক্ষে দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত। তবে দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমের গাড়িগুলো থেকে সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিয়ে গাড়িগুলোকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দায়িত্ব পালনরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, তাদের এভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সচিবালয়ে উপস্থিত হন বেলা ১১টায়। এরপর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কিছু কাজ শেষ করে সদরঘাটে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওযার জন্য দুপুর ১টার দিকে বের হয়ে যান তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী সকাল ১১টায় অফিসে এসেছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দুপুরে আন্দোলনের সময় নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আইন মন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে অফিস করলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা বলেননি। সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি জানান, অনেকটা ভয় কাজ করছিল অফিসে আসার সময়। তবে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। সচিবালয়ে পার্কিংও অন্যান্য দিনের মতই গাড়িতে পূর্ণ দেখা গেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর রোববার থেকে শুরু করে মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হলে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হয়। বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে পরিস্থিতি বুঝে কারফিউয়ের সময়সীমা নির্ধারণ করছে স্থানীয় প্রশাসন।

এস/এ