গজারিয়ায় নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার

গজারিয়ায় নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ।। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর, ইমামপুর ইউনিয়নের কালীপুরা ও হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানীরচর ও বলাকী এলাকায় শতাধিক পরিবার রয়েছে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নয়ানগর গ্রামে সম্প্রতি তিনটি ও বলাকী গ্রামে ৭টি বাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার পর শতবর্ষী একটি মসজিদসহ নদীতীরবর্তী একাধিক পরিবারের বাড়ি রয়েছে ভাঙ্গনের হুমকিতে।গ্রাম ও মসজিদ রক্ষায় বাধ নির্মাণের দাবী ভুক্তভোগীদের।

গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ নদী তীরবর্তী মসজিদ রক্ষা ও ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবার ও রাস্তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মো: ফয়সাল আহমেদ এর দেয়া তাৎক্ষনিক বরাদ্দে সমস্যা কাটিয়ে উঠলেও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহনের দাবী স্থানীয়দের। বর্ষায় পানি বাড়লে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকতে পারে ।

এতে নয়ানগর গ্রামের শতবর্ষী মসজিদ এর উত্তর ও দক্ষিণ পাশের অধিকাংশ বাড়ির নদী তীরবর্তী সুরক্ষা দেয়াল ভেঙ্গে পড়ায় পরিবারগুলো রয়েছে ভাঙ্গণ আতঙ্কে। সম্প্রতি রেমালের সময় হঠাৎ পানি বৃদ্বি ও ঢেউয়ের স্রোতের তোরে নয়া নগরে তারা মিয়া,জাহাঙ্গীর মাষ্টার ও রফিকুল ইসলামের ভিটে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়ির তলদেশের মাটি ধ্বসে গিয়ে বাড়ির ঘর ও স্থাপনা হেলে পড়েছিল কয়েক পরিবারের।

চরবলাকী গ্রামের আমান উল্লাহর বাড়িটি নদীর তীরে তিনি প্রতি বর্ষায় ব্যক্তিগত টাকায় জিও ব্যাগে বালুভরে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।

রেমাল তান্ডবে ওই সাত ঘরিয়াকান্দী মহল্লার ৭/৮ টি বাড়ি নদীতে বিলীন হওয়াসহ অনেক পরিবারের অংশিক ক্ষতি হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ মো: ফয়সাল আহমেদ বিপ্লব গত জুনের প্রথম সপ্তাহে ভাঙ্গন কবলীত এলাকা পরিদর্শনে গেলে ভিটে-বাড়ি রক্ষায় স্থায়ী বাধ নির্মাণের দাবী জানান গ্রামবাসী।

ইমামপুর ইউনিয়নের কালীপুরা গ্রামের নদী ভাঙ্গণের শিকার একাধিক পরিবারের মানুষ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা সাময়িক কোন সহযোগিতা চাই না, ঘরবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী সমাধান চান ক্ষতিগ্রস্থরা।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার গতকাল বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের খবরকে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড হতে জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় কাজ করার জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ভাঙ্গন কবলীত এলাকায় পর্যায়ক্রমে কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মুন্সীগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ এনামুল হক গতকাল জানান, গজারিয়া উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলীত বড়কালীপুরা ও ইসমানীর চর এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার জন্য স্থানীয় এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ বিপ্লবের ডিও লেটারের প্রেক্ষিতে ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে ,স্বল্প সময়ের মধ্যেই উল্লিখিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা হবে।

স/এষ্