বেনাপোলে মাদকের দুটি মামলার তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মনির হোসেন, বেনাপেল প্রতিনিধি ।। যশোরে মাদক চোরাচালান মামলার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে পৃথক দু’টি আদালত। মঙ্গলবার ২৫ জুন অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এই আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, বেনাপোলের আমড়াখালি-কাগমারি গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন জব্বার, সাজু হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন ও খুলনার রূপসা উপজেলার বেলফুিলয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে ঝালকাঠি সদরের গাবখান গ্রামের মৃত ইসমাইল আলী খাঁর ছেলে শওকত আলী খাঁ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই শার্শা থানা পুলিশ বেনাপোল মহাসড়কের নাভারণ-সাতক্ষীরা মোড় থেকে শওকত আলীকে আটক ও তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এসআই মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে শার্শা থানায় আটক শওকত আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে আটক শওকত আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন।
অপরদিকে, ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট ভোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যশোর ‘ক’ সার্কেলের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল পৌরসভার আমড়াখালি-কাগমারি ময়লাখানায় অবস্থান নেন। ওইদিন ভোর ৫টার দিকে দুইজন লোক মাথায় বস্তা নিয়ে ময়লাখানার সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
এ সময় জসিম উদ্দিন ও রাকিবকে আটকের পর তাদের কাছে থাকা বস্তা তল্লাশি করে দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করা হয়ন। তদন্ত শেষে আটক দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদলতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিদর্শক সৈয়দ নুর মোহাম্মদ।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস। বর্তমানে দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই পলাতক রয়েছেন।
স/এষ্