সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, দুই জেলায় পানিবন্দি সাড়ে ১৭ লাখ মানুষ
মোহাম্মদ হানিফ, সিলেট বিভাগীয় প্রধান ।। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলা ছাড়া সবগুলো উপজেলা ও সুনামগঞ্জ শহর প্লাবিত হয়েছে।
জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টিতে ৮২টি ইউনিয়ন ও সুনামগঞ্জ পৌরসভা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তবে, এখন পানি কমতে শুরু করেছে। যদিও, সুরমার নদীর পানি এখনও ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার পানি কমছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই পয়েন্টে পানি কমেছে ২৩ সেন্টিমিটার। ছাতক পয়েন্টে পানি কমেছে ২৭ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার ও দিরাই পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার। সুনামগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো আরও জানায়, আজ সন্ধ্যায় কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০১ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, শেওলা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট নগরে বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় সিটি করপোরেশনের সেচ্ছাসেবক টিম কাজ করছে। পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবুও আমরা সার্বক্ষণিক সতর্ক আছি। মানুষের সহযোগিতায় আমাদের টিম সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্যার পানি উঠেছিল। পানি নেমে যাওয়ায় চিকিৎসাসেবা প্রদান স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত মানুষের চিকিৎসাসেবায় আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, গত দুদিন সিলেটে বৃষ্টি হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে, এতে বন্যা পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়বে না।
স/এষ্