মহাসড়কে তথাকথিত সাংবাদিক মামুনের অবৈধ সিএনজি সিন্ডিকেট

মহাসড়কে তথাকথিত সাংবাদিক মামুনের অবৈধ সিএনজি সিন্ডিকেট

এম এ কাদের, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ।। ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ৩ চাকার যানবাহন সিএনজির চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রকাশ্যে সিএনজি চালকরা মহাসড়কে সিএনজি নিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করছেন।

রেজিস্ট্রেশন বিহীন এসব সিএনজির সামনে পেছনে প্রেস, মিডিয়া এবং সাংবাদিক লিখে মহাসড়কে চলাচল করছে। সাংবাদিক মামুন নামে এক তথাকথিত সংবাদ কর্মী মাসিক মাসোয়ারার বিনিময়ে মহাসড়কে অবৈধ সিএনজি চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে অনেকদিন ধরে।

মহামান্য হাইকোর্ট ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার একটি অংশে চলাচল করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সিএনজি। মহাসড়কে দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ তিনচাকার অবৈধ যানবাহনকে দায়ি করে থাকেন দুর পাল্লা পরিবহনের চালকেরা।
ঢাকা সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত অবৈধ সিএনজি নিয়ে অনেকবার নিউজ হলেও অবৈধ সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়নি।

মাধবপুরে এই অবৈধ সিএনজি নিয়ন্ত্রন করেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। তারা সিএনজি চালকদের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে এসব সিএনজি চলাচলে সুযোগ করে দেয়। এরমধ্যে কথিত এই মামুন নামের সাংবাদিকও রয়েছে।
মহাসড়কে দেখাযায় বেশ কয়েকটি সিএনজিতে স্টিকার যুক্ত সাংবাদিক মামুনের নাম, সাথে তিনি যুক্ত করেছেন নিজ মোবাইল নাম্বার। মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি দাপিয়ে বেড়ায় মহাসড়কে। সিএনজি চালকদের সাথে মাসিক চুক্তি করেছেন। স্থানীয় থানা ও হাইওয়ে থানা ম্যানেজ করে মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে কাজ করছে সাংবাদিক মামুন।

সিএনজি চালকদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, সিএনজির মালিক সাংবাদিক মামুন। কয়টি সিএনজির মালিক তিনি-এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৭ থেকে ৮টি সিএনজির মালিক কথিত সাংবাদিক মামুন। অথচ খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এই সাংবাদিক মামুন অলিপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে গত দু বছর ধরে থাকেন। যার নুন আনতে পান্তা পুরায় সে সিএনজির মালিক হলো কিভাবে? অলিপুর কিংবা তার নিজ গ্রামের কেউ ই জানেন না যে তিনি ৭-৮টি সিএনজির মালিক।

স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসনের যুগ সাজসে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে চলছে অবৈধ সিএনজি অটো রিকশা। মাঝেমধ্যে হাইওয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালালেও সাংবাদিক মামুনের স্টিকারযুক্ত সিএনজি থাকছে ধরাছোয়ার বাইরে।

অন্য সিএনজির চালকরা জানান, সাংবাদিক মামুন কয়েকটি সিএনজির সাথে চুক্তি করেছে, সে প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। বিনিময় এসব সিএনজি হাইওয়ে পুলিশ ধরলে ফোন করে ছাড়িয়ে দেয়। টহলরত হাইওয়ে পুলিশের সাথে রয়েছে তার ভালো সম্পর্ক। তার নাম দেখলে হাইওয়ে পুলিশ আটকাবে না। সব ম্যানেজ করা আছে।

সাংবাদিক মামুন ছোট ভাই, বড় ভাই, মামাতো ভাই, খালাতো ভাই বলে স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও টহলরত হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে তার নামে স্টিকার করে লাগিয়ে দেন। আর প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

এই বিষয়ে তথাকথিত সংবাদ কর্মীর গাড়ীর স্টিকার যুক্ত দেওয়া মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে দুটি ফোন নাম্বারই সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়। এবং তার ব্যক্তিগত অন্য আরেকটি নাম্বারে কল করলে কোন ফোন রিসিভ হয়নি।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি তাই এই বিষয়ে আমি অবগত নয়। বিষয়টি ক্ষতিয়ে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।

সিএনজি মহাসড়কে চলাচল এমনিতেই নিষিদ্ধ। সাংবাদিক স্টিকার সিএনজিতে কেন লাগানো থাকবে। বিষয়টি আমি খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবো।

স/এষ্