তীব্র গরমে পুকুরের পানিতে উপকূলীয় শিশুদের দুরন্তপনা

তীব্র গরমে পুকুরের পানিতে উপকূলীয় শিশুদের দুরন্তপনা

ইসদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা) ।। সময় তখন ঠিক দুপুর ১২ টা হবে, সূর্য টা মাথার উপর দাঁড়িয়ে, এমন প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি কিংবা আরামের আশায় কয়েকটি শিশু পুকুরের পানিতে মেতে উঠেছে দুরন্তপনায়।

কখনো তারা দল বেঁধে পানিতে ঝাপ দিচ্ছে, কখনো আবার সাতার কাটছে, কখনো বল ছোড়া খেলছে। শুক্রবার দুপুরে উপকূলীয় জনপদ পাইকগাছা উপজেলার বাইসারাবাদ আবাসনের কয়কটি শিশু এভাবেই দল বেঁধে দুরন্তপনায় মেতে উঠে আবাসনের পুকুরের পানিতে।

আবাসনটি মূলত উপজেলা সদর থেকে বেশ কিছুটা দুরে খাল-বিল নদীর ধারে নির্মাণ করা হয়েছে। স্কুল এবং হাটবাজার দুরে থাকায় এখানকার শিশুরা কিছুটা চিত্ত বিনোদন কিংবা শহরের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এখানকার শিশুরা ঝড় বৃষ্টির মধ্যে কাদামাটি মেখেই বড় হয়।

এজন্য এখানকার শিশুদের রয়েছে প্রকৃতির সাথে নিবিড় সম্পর্ক। গত ২৬ মে উপকূলীয় এ জনপদে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তখন ও এখানকার অনেক শিশু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করে ছিল আবাসনে। জন্ম থেকেই প্রকৃতির সাথে লড়াই করতে করতে বেড়ে ওঠে আবাসনের প্রতিটি শিশু।

উন্নত স্বাস্থ্যাভ্যাস সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই এখানকার শিশুদের। তবে প্রকৃতির সাথে নিবিড় সম্পর্ক থাকায় এখানকার শিশুদের মধ্যে তেমন কোন অসুস্থতা দেখা যায় না। বৃষ্টিতে ভিজলে যেমন তারা অসুস্থ হয় না, তেমনি প্রখর রোদে ও তাদের তেমন কিছু হয় না।

এখানকার শিশু সহ আবাসনে বসবাসরতদের পাশে সবসময় সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে তাদের সুখে দুঃখে কিংবা যেকোনো বিপদে সবার আগে তাদের পাশে ছুটে যান উপজেলা প্রশাসন।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শুক্রবার সেখানে বসবাসরত দরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস। এসময় শিশুদের পানিতে দুরন্তপনায় মুগ্ধ হন তারা।

শুধু তারা নয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে থাকা শিশু সন্তান মাহতিম জাকির ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে শিশুদের দুরন্তপনা উপভোগ করেন।

শিশুদের দল বেঁধে এমন দুরন্তপনা দেখে শিশু সময়ের কথা খুব মনে পড়ে যায় এবং কিছুটা সময় শিশুকালের স্মৃতিতে আটকে যায় বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। তিনি বলেন এমন দুরন্তপনার মধ্যে ও শিশুদের প্রতিভার বিকাশ ঘটে। শিশুরা হাসিখুশি থাকে।

স/এষ্