লালমনিরহাট জেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা

লালমনিরহাট জেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা

লাভলু শেখ, লালমনিরহাট থেকে।। লালমনিরহাটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ১৮,৫৬৬ টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ৫ম পর্যায় (২য় ধাপে) জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলায় ১ হাজার ৬ টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমির কবুলিয়াত ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।

মঙ্গলবার ১১ জুন সকাল ১০ টায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকার ভোগী ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাবু মিয়া, গৃহিণী শাহেরণ বেওয়া।

এ সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন, রংপুর বিভাগ উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক এর কার্যালয়ের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল বাতেন, লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান আহমেদ, সদর -৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মোঃ মতিয়ার রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এ বি এম আরিফুল হক-এর সভাপতিত্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল হামিদ সরকার-এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ দীপংকর রায়।

এ সময় লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মাহবুবুর রহমান, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ এরশাদুল করিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফা বেগম লাকী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপজেলা ইউনিট কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিকসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলার ৫ টি উপজেলায় পঞ্চম পর্যায় (২য় ধাপে) ১ হাজার ৬ টি ঘরের মধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ১৭, আদিতমারী উপজেলায় ১৪২, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৫৮০ জন, হাতীবান্ধা উপজেলায় ১২৬, পাটগ্রাম উপজেলায় ১৪১টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২শতাংশ জমির কবুলিয়াত ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়।

লালমনিরহাট জেলার ৪টি উপজেলায় ৬ শত ১৭ টি জরাজীর্ণ সিআইসিট ব্যারাকের মধ্যে আদিতমারী উপজেলায় ১৯২, কালীগঞ্জ উপজেলায় ২৯৫ জন, হাতীবান্ধা উপজেলায় ৭০, পাটগ্রাম উপজেলায় ৬০ টি পরিবারকে পূনর্বাসিত করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় ধাপে ১৮হাজার ৫৬৬টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি তিনি ২৬ জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন।

এ প্রকল্পের আওতায় এই পর্যন্ত সারাদেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে।

শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

স/এষ্