জুলাই থেকে অচল হচ্ছে অবৈধ মোবাইল
নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল ফোন গ্রাহকের হ্যান্ডসেটের নিরাপত্তা বিধান ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে আগামী জুলাই মাস থেকে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রক্রিয়ায় অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো বন্ধ করা হবে।
তবে বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া মোবাইল সেটগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বিটিআরসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটের বিক্রয়, আমদানি ও বাজারজাতকরণ নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, একই আইএমইআই নম্বরের সেটগুলোর তালিকা করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালু থাকবে। তারপর সরকারের নির্দেশনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর পুরনো সেটের বিষয়ে বিটিআরসির সিস্টেমে ভেরিফাই করে চালু করা হবে। বিদেশ থেকে পাওয়া উপহারের সেটগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে। তারা কাগজপত্র দেখিয়ে নিজেই ওয়েবসাইট, মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার থেকে নিবন্ধন করে নিতে পারবেন।
অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবহার ঠেকাতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর দেশীয় আইটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটির সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করে বিটিআরসি।
বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালের ১ আগস্টের আগে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ও ২০১৯ সালের ১ আগস্টের পর বৈধ পথে আমদানি করা এবং দেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বা সংযোজিত সব মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের তথ্য বিটিআরসিতে সংরক্ষিত আছে। এর বাইরে যে সব অবৈধ সেট আছে বা বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেটগুলো পরবর্তীসময়ে বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চালানো যাবে। তবে একই ব্যক্তি বারবার উপহার হিসেবে পাওয়া সেট গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিটিআরসির ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছে ১২-১৩ কোটি মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরের তথ্য আছে। তাতে প্রায় ৬-৭ কোটি মোবাইল সচল বলে ধারণা করা হয়। কারণ একই সেটে একাধিক সিম ব্যবহার হয়।
বিটিআরসি জানায়, এনইআইআর সিস্টেম সম্পন্ন হলে সরকার প্রতিবছর চার হাজার কোটি টাকার মতো বাড়তি রাজস্ব পাবে। এস/এ