কোটালীপাড়ায় এসিল্যান্ড সেজে নগদের মাধ্যমে প্রতারণা
কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, সমীর রায়: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার এসিল্যান্ড সেজে (০১৭৫৬৬৬৯১০০) নম্বর থেকে ফোন করে দুই ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। আর এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, গত বুধবার(২৯ মার্চ)বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের ধারাবাশাইল বাজারে দুই মিষ্টি ব্যবসায়ীর কাছে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রঞ্জিত মন্ডল মিষ্টি ব্যবসায়ী সুদেব বালা এবং কৃষ্ণ রায়ের কাছে গিয়ে বলে এসিল্যান্ড অফিস থেকে ফোন দিয়েছে কথা বলেন। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে এসিল্যান্ড পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আজ তোমাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। তোমাদের জেল ও দোকান সিলগালা করব, গাড়ি এবং প্রশাসন প্রস্তুত। আর যদি তোমরা ৫০ হাজার টাকা করে দাও, তাহলে কিছুই করা হবে না। তোমরা ভালোভাবে ব্যবসা করবে।’ ব্যবসায়ীরা বলেন- তাই আমরা ভয়ে নগদের মাধ্যমে অনেক অনুরোধ করে ১৫ হাজার টাকা পাঠাই, দ্বিতীয় জন ২০ হাজার টাকা পাঠাতে গেলে জানা যায় এটা প্রতারক চক্র।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন- ইউপি সদস্য রঞ্জিত মন্ডল আমাদের জনপ্রতিনিধি তিনি যদি না বলতো যে এসিল্যান্ড অফিস থেকে ফোন দিয়েছে তাহলে তো আমরা কথা বলতাম না, আর টাকাও পাঠাতাম না, তাই আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
নগদ এজেন্ট আশিষ বালা বলেন- সুদেব বালা (০১৭৫৬৬৬৯১০০) নাম্বারে ১৫ হাজার ২২০ টাকা টাকা খরচ সহ ২ টা ৫৪ মিনিটে পাঠিয়েছে।
এছাড়া অপর বিকাশ এজেন্ট দিদার হোসেন তালুকদার বলেন- কৃষ্ণ রায় এর স্ত্রী আমাকে এসে বলেন এসিল্যান্ড স্যারকে ২০ হাজার টাকা পাঠাতে হবে, কিন্তু আমি তাকে টাকা পাঠাতে দেইনি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রঞ্জিত মন্ডল এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাকে তুষার চেয়ারম্যান ফোন দিয়ে বলেছে এসিল্যান্ড অফিস থেকে আপনাকে ফোন দিচ্ছে ফোন ধরেন না কেন। তখন আমি ফোন ধরি এবং স্যার আমার কাছে জানতে চয় আপনার বাজারে মিষ্টির দোকান কয়টা, আমি বললাম চার-পাশটা তখন স্যার আমাকে মিষ্টির দোকানে যেতে বলে, আমি মিষ্টির দোকানে যাই,এবং আমাকে বলে মিষ্টির দোকানদারের কাছে ফোনটা দেন,তখন আমি ফোন দেই। ফোনে সুদেব বালার সাথে কি কথা হয়েছে আমি জানি না।আমি এর বেশি কিছু জানি না, আমি শুধু চেয়ারম্যানের নির্দেশ পালন করেছি।
কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তুষার মধু বলেন, আমি টাকা লেনদেনের বিষয়ে কোন কিছু জানিনা, আমাকে একটা নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেম্বারকে ফোন দিচ্ছি ধরে না, আপনি একটু ফোন দিয়ে বলেন, ফোনটা রিসিভ করতে। তাই ফোন দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এস/এ