ইসরাইলী পুলিশ বাহিনীর হামলার নিন্দা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অন্তরায় ইসরাইল: ন্যাপ

ইসরাইলী পুলিশ বাহিনীর হামলার নিন্দা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অন্তরায় ইসরাইল: ন্যাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র রমজানে ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলী পুলিশ বাহিনীর বর্বর হামলায় হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অন্তরায় ইসরাইল ও তার সমর্থক রাষ্ট্রগুলি।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র মসজিদ বায়তুল আকসা। সারা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে এই মসজিদের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে এই মসজিদে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ইসরাইলী বাহিনী মুসলমানদের হৃদয়ে চরম আঘাত করেছে। নিরস্ত্র রোজাদার মুসল্লীদের উপর যে হামলা চালানো হলো তা জঘন্য বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের সময়ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নেতারা তখন তাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রভুদের খুশি রাখতে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। নামাজরত মুসল্লি ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের চরম লংঘন হলেও কেন মুসলিম বিশ্ব ও মানবতাবাদী রাষ্ট্রগুলো নিরব কেন ?

তারা বলেন, যারা ফিলিস্তিনিদের কয়েক দশকের ভয়ংকর দুর্দশা থেকে মুক্তি দিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে পারতেন সেসব মুসলিম শাসকদের মধ্যে রয়েছে ভয়ংকর অনৈক্য ও অবিশ্বাস। আর অধিকাংশই ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূখন্ড থেকে বিতাড়নকারী, নির্যাতনকারী, এমনকি মুসলিমদের প্রথম কিবলা পবিত্র আল আকসা মসজিদে আক্রমণকারী ইসরাইল ও তাদের দোসরদের বন্ধু বানিয়েছেন নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে। তাই ইসরাইলের ভয়ংকর আগ্রাসনে অসহায়, বিপন্ন ফিলিস্তিনিদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে নিরাপদে সাইডলাইনে বসে নীরবতা পালন করছেন।

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে ওআইসি, জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ইসরাইলকে এ ব্যাপারে জবাবদিহী করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরাইল তার অবৈধ দখলদারিত্ব বজায় রাখার জন্য ফিলিস্তিনী মুসলমানদের উপর এভাবে একের পর এক আগ্রাসান চালাচ্ছে। মসজিদুল আকসায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে সেখান থেকে মুসল্লীদেরকে বিতাড়িত করার চক্রান্ত করছে। কিন্তু মুসলমানরা তাদের এই পবিত্র মসজিদকে কখনো ছেড়ে যাবে না।

এস/এ