নির্বাচনে কাউকে আনার দায়িত্ব সরকারের নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে কাউকে আনার দায়িত্ব সরকারের নয়। দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। তবে আমরা প্রত্যাশা করি, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ^াসী সব রাজনীতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়োজিত করবে। আওয়ামী লীগ যে কোনো উপায়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। একই সঙ্গে যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতেও প্রস্তুত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ^াস করে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। এদেশের মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও অবিভাজিত বোধের এক অপরাজেয় শক্তির নাম আওয়ামী লীগ, যেটি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে ধরনা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি বরাবরই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দলটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানুষের কল্যাণে কিছু করেনি। তাদের এই অপরাজনীতির কারণে দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতন্ত্র সবার সম্মিলিত প্রয়াসের ফল। কিন্তু গণতন্ত্রকে নসাৎ করে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপরাজনীতি শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের বিপরীতে বিভেদের অপরাজনীতির প্রচলন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বিদেশে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার কোনো প্রভু নেই। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত এই পথেই আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই মূল বিবেচ্য বিষয়। মানুষের কল্যাণ কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপোষহীন মনোভাব পোষণ করায় শেখ হাসিনাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশী জীবন যাপন করছে। এমনকি কোনো কোনো দেশের সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকায় তাদের দূতাবাস খোলার আগেই বিএনপি নেতারা ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হন। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টাও করে তারা। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজশে যে কোনো উপায়ে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।
এস/এ