ঢাকা শহরে প্রায় দুই হাজার স্থানে বর্জ্য অব্যবস্থাপনা রয়েছে: সবুজ আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল আদায় ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে জনসচেতনতা তৈরিতে মাঠ পর্যায়ে সারা বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। আজ ১১ মার্চ সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যালয় মালিবাগে”ঢাকা সিটির বায়ু দূষণ-বর্জ্য অব্যবস্থাপনা রোধে করণীয়”শীর্ষক আলোচনা সভা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-দপ্তর সম্পাদক ও নির্বাচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের পরিচালক প্রিন্সিপাল নাদিয়া নূর তনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলনের পরিচালক অভিনেতা উদয় খান, শেখ এনামুল হক রনি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সবুজ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বিগত ৩ মাসে সবুজ আন্দোলন তথ্য গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা শহরের ১৫ টি থানার বিভিন্ন স্থানে ৫০০ টি স্থানে যত্রতত্র ময়লা ফেলার স্থান চিহ্নিত করা হয়। যে সকল থানাগুলোতে সরোজমিনে ময়লা ফেলার স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো খিলগাঁও, রামপুরা, শাহজাদপুর, হাতিরঝিল, ভাটারা, রমনা, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, দারুস সালাম, গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, বংশাল, পল্টন। ঢাকা শহরের সবগুলো থানা হিসাব করলে প্রায় ২ হাজারের অধিক বর্জ্য অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা যায়।ঢাকা শহরের আরেকটি অন্যতম সমস্যা বায়ু দূষণ। যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের উদ্যোগ খুব বেশী চোখে পড়ছে না। খুব দ্রুত বর্জ্য অব্যবস্থাপনা থেকে ঢাকা শহরকে মুক্তিতে সুনিদৃষ্ট প্রস্তাবনা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের চিন্তা করছি আমরা।
প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, বায়ুদূষণ রোধে সবুজ আন্দোলন ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। বিশেষ করে সাপ্তাহে একদিন শহরের রাস্তা ধৌত করার ব্যবস্থা করলে প্রায় ৭০ ভাগ বায়ু দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব। যার ফলে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন জরুরি তবে পরিবেশ বজায় রেখে সকল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কোম্পানি কেন এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না সরোজমিনে পরিবেশ অধিদপ্তরকে তদারকি করতে হবে। বাড়ি ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র না রাখা হয় এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে।
উদ্বোধক প্রিন্সিপাল নাদিয়া নূর তনু বলেন, শহরের প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার আয়োজনের চিন্তা করছি। আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে অন্তত ৫০ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিবেশ বিপর্যয় সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, শিশু ও নারীর দৈহিক গঠন বিকাশে সঠিক পুষ্টি পেতে করণীয় সম্পর্কে তথ্য প্রদানে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা কামনা করছি।
আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা আরও বলেন সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ ও বর্জ্য অব্যবস্থাপনা রোধে জনসচেতনতা তৈরিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করব। সকলের উপস্থিতিতে সবুজ আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণে তরুণ ব্যবসায়ী আবদুল আজিজকে সভাপতি এবং সাংবাদিক আলমগীর হোসেন পলাশকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এস/এ