পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, মানুষের জীবন-জীবিকা ও পানির অন্যতম উৎস পাহাড়। মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে পাহাড়ের ভূমিকা অপরিসীম। পাহাড়কে কেন্দ্র করে পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটনের নতুন দ্বার উন্মোচনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।
আজ আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
মন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমিধ্বস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষি জমির অপ্রতুলতা, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন ইত্যাদি কারণে পিছিয়ে পড়া পার্বত্যবাসীর জীবনধারা এবং জলবায়ু ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়-পর্বতের অবদান ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন সংস্থাসমূহ বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ সকল কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাত লক্ষ পঁচিশ হাজার বৃক্ষ রোপণ।
তিনি আরো বলেন, এ বছরের আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ে টেকসই পর্বত ভিত্তিক পর্যটনে সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে হবে। এছাড়াও পর্বত ও পর্বতের জীববৈচিত্র রক্ষা, এগুলোর সফল ব্যবহার এবং পর্বতের আসল রুপ-অলংকার ধরে রাখার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। যত্রতত্র পাহাড় ও বন উজাড়ের কারণে প্ররিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের প্রতিপাদ্য “Sustainable Mountain Tourism” এর আলোকে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব, নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। আলোচনা করেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মো: মোস্তফা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সন্তোষ কুমার দে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। ঢাকায় বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীবৃন্দ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এস/এ