তথ্যপ্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

তথ্যপ্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

বিশেষ প্রতিনিধি: নারীদের নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ নানা বক্তব্যের পর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। দেশের বরেণ্য শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও গবেষকরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ডা. মুরাদ হোসেন একজন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। তার মতো মানুষ যেটি বলেছেন, এটি শোভনীয় নয়। এ কাজটি তার মোটেই করা ঠিক হয়নি। এটা সমাজের মূল্যবোধের ওপর আঘাত। সমাজের মূল্যবোধ ও নৈতিক অবক্ষয়। তবে প্রধানমন্ত্রী যেটি করেছেন, তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমরা যখন মুক্তি যুদ্ধ করেছি, তখন ভাবিনি, এমন একটি বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে শুনতে হচ্ছে, একজন প্রতিমন্ত্রী এ ধরণের কথা। তবে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটিকে স্বাগত জানাই।

গবেষক ও লেখক অধ্যাপক যতিন সরকার বলেন, ডা. মুরাদ হাসান যেটি বলেছেন, এটি কোনো সভ্য লোক বলতে পারেন না। এই লোকটাকে প্রতিমন্ত্রী বানানোর আগেই প্রধানমন্ত্রীর চেনা উচিত ছিলো। ডা. মুরাদ সবাইকে ঘোল খাইয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগ করার যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেটি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে তার মন্ত্রীত্ব কেড়ে নিলেই শাস্তি হবে না। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিচক্ষণ। তিনি ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়ে সেই কাজটিই করেছেন। তিনি সব সময়ই যেকোনো বিষয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেন।

বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ যারা অশ্লীল বক্তব্য দেবেন, তাদের রাজনীতিতে থাকার অধিকার নেই। যারা নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন, তাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা যায় না। আমদের যে ধর্মীয় সংস্কৃতি আছে, ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে, এনিয়ে যারা মন্তব্য করেন, তারা ক্ষমার অযোগ্য। এ ধরণের আরও যারা আছেন তাদেরও বিদায় করা উচিৎ। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে সামনে রেখে অন্য দলের মধ্যেও এমন ধরণের নেতারা আছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। এটা শুধু আওয়ামী লীগের জন্য উদাহরণ হবে কেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি সব সময়ই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। এটি একটি ভালো কাজ হয়েছে। এর ফলে অন্যরাও এমন ধরণের মন্তব্য করার সাহস পাবে না।

এস/এ