শেখ হাসিনা যা করেছেন জিয়া-খালেদা ক্ষমতায় থাকতে তা করেছেন কিনা প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

শেখ হাসিনা যা করেছেন জিয়া-খালেদা ক্ষমতায় থাকতে তা করেছেন কিনা প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: যারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কথা বলছেন তাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর জন্য এমন ব্যবস্থা তারা করেছিলেন কিনা ? তারা যা করেননি, সেটি বঙ্গকন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। সুতরাং তাদের প্রথমেই শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো দরকার।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত আটটায় চট্টগ্রাম ক্লাবে বাংলাদেশ-রাশিয়ার কুটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের প্রারম্ভে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসকল কথা বলেন।

চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি নাদের খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিসকি। অন্যান্যের মধ্যে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, রাশিয়ান কনফেডারেশনের অনারারি জেনারেলবৃন্দ অনুষ্টানে যোগ দেন।

গণতন্ত্র পুনরূদ্ধারের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির মহাসচিবের আহবান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত কিছুদিন ধরে বিএনপির বক্তৃতা বিবৃতি ও নানা কর্মসুচিতে মনে হচ্ছে বিএনপির একমাত্র মাথাব্যথা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য। দেশ ও দেশের অন্য কোনো বিষয় নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নাই। একটি দলের রাজনীতি যখন শুধুমাত্র তাদের নেত্রীর স্বাস্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়, সেইদল কখনো জনগণের দল হতে পারেনা।

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহমর্মিতা দেখানোর ফলেই তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হওয়া সত্ত্বেও তার পছন্দ অনুযায়ী দেশে সবচেয়ে ভালো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি কারাগারের বাইরে আছেন, পরিবার-পরিজনের সাথে আছেন। তার ও বিএনপির ইচ্ছে অনুযায়ী সমস্ত চিকিৎসা হচ্ছে।’

খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর বিএনপির যে দাবি এটির পেছনে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি আগেও যখন অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনও তারা সমস্বরে বলেছিলেন খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে তিনি কখনো ভালো হবেন না। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসাতে ভালো হয়ে ঘরে ফেরত গিয়েছিলেন। এখনো কামনা করি তিনি ভালো হয়ে ঘরে ফিরে যান। কিন্তু বিএনপি সেটি চায় কিনা এটিই হচ্ছে প্রশ্ন ? বিএনপিনেতারা চান খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাক। তাহলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হয়।’

এসময় খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সেলিমের মৃত্যু অত্যন্ত দু:খজনক এবং তদন্তের আগে কাউকে দোষারোপ করা সমীচীন নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তার হার্টসহ অন্য কোনো অসুখ ছিল কিনা সেটি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ অন্যান্য ইনভেস্টিগেশন করলে বেরিয়ে আসবে তিনি অন্য কোনো অসুখে অসুস্থ ছিলেন কিনা। সেটি করার আগে কাউকে দোষারোপ করা সমীচিন নয়। এই মৃত্যুর জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে, তিনি যেই হোক অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা নেবে।’

এস/এ