অপুষ্টি শ্রমিকের কর্ম ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

অপুষ্টি শ্রমিকের কর্ম ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদী অপুষ্টি শ্রমিকের কর্ম ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করে। অন্যদিকে পুষ্টিকর খাবার জনস্বাস্থ্যের তথা শারীরিক বৃদ্ধি, মেধা বিকাশ ও যথাযথ কর্ম ক্ষমতার জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ।

রোববার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে গে¬াবাল এ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন-GAIN এর সহযোগিতায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আয়োজিত “কর্মক্ষেত্র পুষ্টি কার্যক্রমঃ শিক্ষণ বিনিময়” সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার শুধু শ্রমিক নয়, সব জনগণের অপুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশের মানুষের জন্য পুষ্টির অবস্থার উন্নতির জন্য সরকার পুষ্টি নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করেছে। দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা (২০১৬-২০২৫) গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী মালিকরা কারখানায় শ্রমিকদের যে নাস্তা দেওয়া হয়, সেগুলো যেন পুষ্টিকর হয় বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-এর নেতাদের অনুরোধ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই মিলে সতের কোটি মানুষকে পুষ্টির বেড়াজালে আটকাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে মঙ্গাকে বিদায় করেছি। খাদ্য ঘাটতিকে দুর করেছি। মধ্যম আয়ের উন্নীত হয়েছি। সরকার নীতি, প্রশাসনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের মাধ্যমে দেশের শুধু শ্রমজীবী মানুষই নয়, সব নাগরিকের অপুষ্টিজনিত ঘাটতি দূরীকরণের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় বাংলাদেশে প্রায় ৮ শতাংশ জিডিপি হ্রাস পায় শুধু আয়রনের অভাবজনিত এনেমিয়ার কারণে। সরকারী বেসরকারী উদ্যোগে একটি পুষ্টি কালচার তৈরির আহবান জানানো হয়।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএয়ের সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ, আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুতিআইনেন, ন্যাশনাল নিউট্রেশন সার্ভিস এর লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। ওয়ার্ক ফোর্স নিউটেশন এবং ইভালুয়েশন এন্ড লার্নিং এর উপর মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন এবং ডা. সাইদ আবুল হামিদ।