গাড়িতে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৃত চালক ছিলেন না: ডিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) গাড়িটি চালাচ্ছিল পরিচ্ছন্নকর্মী রাসেল খান। সেই গাড়ির প্রকৃত ড্রাইভার মো. হারুনের কাছ থেকে চাবি নিয়ে সায়েদাবাদ থেকে গাড়িটি নিয়ে বের হয়। এরপরই দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে পল্টন থানা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ ঘটনায় কথিত লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৪ নভেম্বর সকাল ১১টা ২০ মিনিটে পল্টন মডেল থানার গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার গোলচত্বরের দক্ষিণ পাশে কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাঈম হাসান (১৮) রাস্তা পার হওয়ার সময় পূর্ব দিক থেকে আসা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি ট্রাক (রেজিঃ নম্বর ঢাকা মেট্রো-শ১১-১২৪৪) চালক রাসেল খান বেপরোয়া গতিতে ময়লা নিয়ে সজোরে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। যার ফলশ্রুতিতে ভিকটিমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। তখন স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে বেলা পৌনে ১২টার সময় মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার টহল পুলিশ ও পথচারীরা ট্রাকের চালক রাসেল খান ও গাড়ির ভেতরে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী গোলাম রব্বানী ও বেলালকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের অফিসের পূর্ব প্রান্ত থেকে আটক করে। সেখান থেকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয় এবং ময়লার গাড়ি জব্দ করে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়না তদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের বাবা শাহ আলম দেওয়ান বাদি হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেছে।
তিনি বলেন, রাসেল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিয়োগ প্রাপ্ত ড্রাইভার না। গাড়িটির নিয়োগপ্রাপ্ত ড্রাইভার হারুন রাসেল খানকে বদলি হিসেবে গাড়িটি চালাতে দেয় এবং গ্রেফতারকৃত চালক রাসেল খান ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার প্রকৃত ড্রাইভার আটক হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হারুনকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। এখনো তাকে গ্রেফতারকার যায়নি। ঘটনার সময় চালক হিসেবে রাসেলই গাড়ি চালাচ্ছিল। এ কারণে রাসেলকে আমরা গ্রেফতার করেছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে যতটুকু জানা গেছে রাসেল সিটি কর্পোরেশনের একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ করতো। তবে সে সিটি কর্পোরেশনে নিয়োগপত্র কিংবা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এস/এ