সিপাহী বিপ্লবের নামে জিয়া মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা করে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মো.মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন; হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির অভ্যুদয়। পচাত্তরের আজকের এদিনেই জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। এই দিনে সিপাহী বিপ্লবের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। সিপাহী বিপ্লবের নামে সেদিন জিয়া মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা করে একটি রক্তাক্ত ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে।
‘মুজিববাদ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য এই শ্লোগান’ এ অনুষ্ঠিত আজ (রোববার) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গনে (সামনে) “৭নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীকে সম্প্রতি সময়ে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে সাহসী বক্তব্য রাখার জন্য বিশেষ সম্মননা প্রদান করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৃশংসভাবে সপরিবারে নিহত হওয়ার পরে খুনী মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। খুনী মোশতাকের নেপথ্যে ছিল ১৫ই আগস্ট এর মূল খুনীরা। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশারফ মোশতাকের রাষ্ট্রপতি হওয়া মেনে নিতে পারেন নাই। তিনি তাঁর অনুগতদের নিয়ে ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যূত্থান ঘটান এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করেন। বন্দিদশায় জিয়া ফোন করে কর্নেল তাহেরকে বলেন “সেভ মাই লাইফ”। সে দিন কর্নেল তাহের জিয়াকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন। বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে খালেদ মোশারফকে ওই দিনই হত্যা করে জিয়া
বলেন; তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান।
ডা.মো.মুরাদ হাসান আরও বলেন; ৭ই নভেম্বর এর বিপ্লবের কারিগর ছিলেন কর্নেল তাহের। এই বিপ্লবের ফলে ক্ষমতায় বসে খুনী জিয়াউর রহমান। জিয়া শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করাই নয়, সেই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অফিসার হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছিলেন।
জিয়া পরিবার দেশকে ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে ডা. মুরাদ বলেন, খালেদা জিয়া এবং সাজাপ্রাপ্ত তার পুত্র তারেক এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তারেক লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কুমিল্লায় পুজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার পরিকল্পনাকারী তারেক ও বিএনপি’র নেতারা। তারেক গংরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া। এই তারেক গংদের বাংলাদেশ থেকে চীরতরে বিতাড়িত করতে হবে। জাতিয় সংসদ ভবন এলাকা হতে জিয়ার সমাধি অপসারণ করা হবে। খুনি জিয়ার নামে বাংলাদেশে কোনো স্মৃতি চিহ্ন থাকতে পারে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পচাত্তর পনের আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবার হত্যা থেকে একাশি সাল পর্যন্ত বিনা বিচারে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের নির্মমভাবে হত্যা করার অপরাধে খুনী জিয়ার মরণোত্তর বিচারসহ একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে । বর্তমানে দেশে মাথাপিছু আয় দাড়িয়েছে ২হাজার ৫শ ৫৪ ডলার বা ২৯ হাজার ৪শ ৩০ টাকা।
বাহাত্তরের সংবিধান সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে এর বাহিরে বাংলাদেশ চলতে পারেনা।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এর সভাপতিেত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগ এর অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক; সম্প্রতি বাংলাদেশের সদস্য- সচিব,অধ্যাপক ডা: মামুন মাহতাব স্বপ্নিল;ভাস্কর শিল্পী, রাশা। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এস/এ