জেনারেল জিয়া জাতীয় বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক , মীরজাফর
নিজস্ব প্রতিবেদক : রবিবার সকাল ১১.০০টায় শিখা চিরন্তন সম্মুখে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী ও ইন্ধনদাতাদের বিচারের দাবিতে দেশের বরেণ্য নাট্য ও চলচ্চিত্র শিল্পীদের সমাবেশ, মানববন্ধন ও পরে নিহত সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিখা চিরন্তনে পুস্পমাল্য অর্পণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করবেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকারী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম। বক্তব্য রাখেন জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, বিশিষ্ট অভিনেত্রী জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিন জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদার, জোটের নেত্রী বিশিষ্ট আবৃত্তিকার, লেখক মুনা চৌধুরী, মিস বাংলাদেশের মুনজারিন অবনিসহ দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী, নাট্য ও চলচ্চিত্র অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

বক্তারা বলেন, জেনারেল জিয়া জাতীয় বেঈমান, বিশ^াসঘাতক, মীরজাফর। তিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে জাতীয় চার নেতার সাথে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বিশ^াসঘাতকতা করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার জন্য একের পর এক হত্যা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোকজনকে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে মনেপ্রাণে অংশগ্রহণ করেন নাই। পাকিস্তানের চর হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলেই ৭১’র পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছেন।
বক্তারা তার মরণোত্তর বিচার দাবি করে বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন এবং সৈনিক ও অফিসার হত্যা দিবস। বিএনপি এই দিনকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে অথচ প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৫ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি যে কর্নেল তাহের বন্দিদশা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, সেই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরকেও জিয়া পরবর্তীতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন।
হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির অভ্যুদয়, তারা এদিনটি যেভাবে পালন করে, তাতেই প্রমাণ হয় এবং এদিনই আসলে জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। জিয়া প্রথমে তার মনোনীত বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক পদে রাখেন। কিন্তু উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ক্ষমতা ছিল তার হাতেই। জিয়া শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করাই নয়, সেই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অফিসার হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছিলেন।
বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার। আর পক্ষান্তরে বিএনপিই এদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। অগণতান্ত্রিকভাবে সেনা ছাউনিতে বিএনপির জন্ম। ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তারা দল গঠন করেছে। আজ যারা বড়বড় কথা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তারা সবাই সেই উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আর গত একযুগ ধরে আমরা দেখছি, বিএনপি নির্বাচনকে বর্জন করছে, প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা এমনকি নির্বাচন ঠেকানোর নামে শতশত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছে, কিন্তু জনগণ তা হতে দেয়নি।
এস/এ