২২ ডিসেম্বরে ‘ঢাকা মেয়র কাপ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’ এর দ্বিতীয় আসর: তাপস
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেয়র কাপ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’ টানা দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।
মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ১০ম বোর্ড সভায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই তথ্য জানান।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমাদের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটি গতবারের ন্যায় এবারও আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।ধারাবাহিক ২য় এই আয়োজন আরও বৃহৎ কলেবরে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশাবাদী, গতবারের চাইতে আরও বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে এবারকার আয়োজন সম্পন্ন করতে পারব।”
ঢাকাবাসীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী এই আয়োজনের নতুন নামকরণ করা হচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমাদের এই কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিত্ব করেন। প্রথমবারের সফল আয়োজনের পর ঢাকাবাসী কাউন্সিলরসহ আমাদেরকে নানাভাবে নতুন নামকরণের অনুরোধ জানান। আমরা ঢাকাবাসীর চাওয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে কমিটির সদস্যদের সুপারিশ মোতাবেক এই আয়োজনকে ‘ঢাকা মেয়র কাপ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’ হিসেবে নতুন করে নামকরণ করছি।”
এবারের আয়োজনের নিবন্ধন প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য প্রাথমিক কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আগামী ২২ ডিসেম্বর প্রতিযোগিতা শুরু হবে।দ্বিতীয়বারের মতো এই আয়োজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করাই আমি আনন্দিত, অনুপ্রাণিত। আমি মনে করি যে, গতবার আমরা যে সফলতা দেখাতে পেরেছি, এবার তার চাইতে আরও বেশি সফলতা আসবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে। আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে অনেকগুলো মাঠ আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। অনেকগুলো মাঠ সংস্কার করা হয়েছে।”
ধুপখোলা মাঠ নিয়ে নানারকম বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তা সফল হয়নি জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “সেই মাঠের নকশাসহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত অবমুক্ত করার পর তরুণ প্রজন্ম এখন অত্যন্ত উদ্দীপিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের ব্যাপক আগ্রহ, উৎসাহ আমরা প্রত্যক্ষ করছি। সুতরাং অনেক কিছুতেই আমরা বাঁধাগ্রস্ত হই। কিন্তু যখন আমরা পরিপূর্ণভাবে জনগণের মাঝে পুরো তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরতে পারি, তখন তা সমাদৃত হতে বাধ্য। কারণ আমরা সুষ্ঠু ও ন্যায়নিষ্ঠভাবে কাজগুলো করে চলেছি।”
বোর্ডসভায় করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এস/এ