মন্ত্রীদের অতিকথনে বিভ্রান্ত হচ্ছেন দেশবাসী: ন্যাপ

মন্ত্রীদের অতিকথনে বিভ্রান্ত হচ্ছেন দেশবাসী: ন্যাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘চালের চাহিদা কমাতে মানুষকে ভাত কম খোন’ কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আর ইসলাম ধর্ম ও সংবিধান নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বক্তব্য দেশবাসীর সাথে প্রহসন ও এই সময়ে আগুনে উসকে দেওয়ার মতো বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, ‘মন্ত্রীদের অতিকথনে বিভ্রান্ত হচ্ছেন দেশবাসী। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন সাধারণ মানুষ। সরকারের মধ্যে অপরিকল্পনা, অদূরদর্শী ও সমন্বয়হীনতার কারণে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে।

সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, মন্ত্রীদের অতিকথন বন্ধ করে বাজার নিয়ন্ত্রন করতে হবে। দুর্নীতি, অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। বাজর সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। ভাথে-মাছে বাঙ্গালিকে ভাত কম খাওয়ার উপদেশ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলে হবে না। রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে পুরোপুরি।

নেতৃদ্বয় বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতার গতি সবাই দেখতে চায়। মেট্রোরেল করার কারণে পাতালরেলের দাবি আসবেই। হিসাব-নিকাশের অনেক কিছু থাকবে সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে। নতুন প্রজম্ম বেশি বাস্তবমুখী। সারা দুনিয়া তাদের হাতের মুঠোয়। তাদের যেনতেন বুঝ দেওয়া যাবে না। বাজার নিয়ন্ত্রন না করে শুধু লম্বা লম্বা কথা বললে হবে না। লম্বা কথার দিন শেষ। মানুষের চিন্তা-চেতনা বদলে গেছে।

তারা আরো বলেন, জনগন সুস্থ ও স্বাভাবিকতা দেখতে চায় সমাজে, রাজনীতিতে। বুলি শুনতে চায় না। হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে জাগিয়ে তুলতে হবে কৃষ্টি-সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িকতাকে। তাই বলে কারও ধর্মকে খাটো করে দেখা যাবে না। কাউকে অকারণে আঘাত করা যাবে না। একটা সময় মানুষের মাঝে সুস্থতা ছিল সবখানে। সেই সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে মন্ত্রীদের দায়িত্বশীল আচরন করতে হবে।

এস/এ