সাম্প্রদায়িক সহিংসতা-ভূমিপুত্র হিন্দুরা আক্রান্ত; দায় কার?

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা-ভূমিপুত্র হিন্দুরা আক্রান্ত; দায় কার? 

সুদীপ চন্দ্র হালদার

১. ধর্ম মানুষের উচ্চতর মানবিক গুনাবলী বিকশিত হওয়ার মাধ্যম, প্রত্যেকটি ধর্মগ্রন্থ কল্যাণময়-মঙ্গলময় শিক্ষা দেয়। বেদ, ত্রিপিটক, বাইবেল, কোরান-প্রত্যেকটি ধর্মগ্রন্থই অত্যন্ত শ্রদ্ধার বস্তু। এই মহাগ্রন্থ সমূহের অসম্মান নিতান্তই অপ্রত্যাশিত।

২. বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর দেশ। মানুষ প্রকৃতির সন্তান, প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক অতি নিবিড়, অতি ঘনিষ্ট। আর, এই জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশের মানুষ সব কিছুতেই মধ্যপন্থা

অবলম্বন করে। আমরা, বাঙালিরা, জাতিগত ভাবে আবেগী। এই আবেগকে পুজি করে অতি সহজে ধর্মের মত পবিত্র বিষয়কে নিয়ে যড়যন্ত্রকারী কুচক্রীরা যড়যন্ত্র করতে পারে, পারবে; কিন্তু, আশাপ্রদ বিষয়, দীর্ঘ মেয়াদে সেই ষড়যন্ত্র স্থায়ী করতে পারবে না। কারন, এই জলবায়ুতে অতি ডান কিংবা অতি বাম কোনটিই দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ হবে না।

৩. বাংলাদেশ আবহমানকাল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, দ্বিজাতি তত্ত্বের ভ্রান্ত চেতনা আমাদের জাতিসত্তায় ঢুকতে পারেনি বলেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আমাদের পূর্বসূরীরা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। চায়ের আড্ডায়, খেলার মাঠে,  উৎসবে-পার্বনে সহ সর্বত্র আমরা এতটাই সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানে অভ্যস্ত যে ধর্মীয় পরিচয় নিতান্তই গৌণ ভূমিকা পালন করে।

৪. সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লার পূজা মণ্ডপে কোরান অবমাননার কথিত অভিযোগে গুজব রটিয়ে সারা দেশব্যাপী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কারন, বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে যড়যন্ত্রমূলক এবং অসত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত না হয়েই অসংখ্য পূজা মণ্ডপ, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া, এমনকি খুন ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটেছে, যা তীব্র বেদনাদায়ক।

৫. আশাপ্রদ বিষয়, ঘটনার প্রায় শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকল ধর্মের প্রগতিশীল মানুষ সংঘটিত সহিংসতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, যা ভয়ঙ্করতম দাঙ্গার মত ঘটনা থেকে প্রানপ্রিয় বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করেছে।

৬. ইতিবাচক বিষয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মের কিছু ধর্মীয় বক্তা কুমিল্লার পূজা মণ্ডপের ঘটনা প্রসঙ্গে গঠনমূলক ব্যাখ্যা করেছেন, যা অন্যান্য ধর্মানুসারী মানুষের হৃদয়ে আশার সঞ্চার করেছে। তবে, কিছু কিছু ধর্মীয় বক্তা বিষয়টি উস্কে দিয়েছেন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে হিন্দুধর্মের মানুষের অবদান অন্যায়-অসত্যের আশ্রয়ে প্রকারান্তরে অস্বীকার করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

৭. বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে, যা অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু, পুরোপুরি সফল হয়েছে এমনটি  বলার কোন সুযোগ নেই। অনেকের মতে, সহিংসতা চলাকালীন সময়ের মাঝামাঝি দিকে এক/দু’দিন রাষ্ট্রযন্ত্র সহিংসতার বিভিন্ন আঙ্গিক গভীরভাবে অনুধাবন করতে সময় নিয়েছে।

৮. আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ সহিংসতার বাহ্যিক মূল উৎস কুমিল্লার অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে পরিকল্পিত ভাবে কোরান রেখে ভয়াবহ এই সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়েছেন। আইনী হেফাজতে নেয়া ব্যক্তিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় অতি আশ্চর্যজনক ভাবে যারা কোরান অবমাননার দায়ে এই নৃশংস সহিংসতা চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে কিংবা কোরান অবমাননার অভিযোগে বেশ কয়েকদিন যাবৎ সভা সেমিনার করে উক্ত অবমাননাকারীদের বিচার চেয়েছে, তাদের নীরবতা লক্ষ্যনীয়। তাই, যৌক্তিক কারণেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সকল প্রগতিশীল মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, প্রকৃত পক্ষে এই সহিংসতা সৃষ্টিকারীরা কি কোরান অবমাননার বিচার চেয়েছেন নাকি সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক একাধিক সমীকরনজাত কারনে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ হিন্দুবিদ্বেষ থেকে এই ভয়ংকর সহিংসতা চালিয়েছেন (!)?

৯. কুমিল্লার পূজা মণ্ডপে সংগঠিত যড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের অনেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন বলার চেষ্টা করছেন। তারা মানসিক ভারসাম্যহীন হতেই পারে। কিন্তু, সচেতন জনমনে প্রশ্ন জেগেছে, এই ধরনের মানসিক ভারসাম্যহীন লোক কি বাংলাদেশে শুধুমাত্র এরাই ছিল কিংবা আছে, নাকি আরোও অনেক আছে? যদি মানসিক ভারসাম্যহীন দু/তিন জন লোকের কর্মকাণ্ডে দেশে এত বড় সহিংসতা সৃষ্টি হতে পারে, তাহলে তো প্রাজ্ঞ জনেরা ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কিত হতেই পারেন।

১০. হিন্দুধর্মের সকলে বেদকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন, এমনটি আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি না, তদ্রূপ সংখ্যাগরিষ্ট ধর্মের সবাই তাদের ধর্মগ্রন্থকে একই রকম শ্রদ্ধা করেন, এটাও নয়। কাজেই, ধর্মীয় গ্রন্থের অবমাননাকারীদের, ধর্মীয়গ্রন্থ ব্যবহার করে সহিংসতা সৃষ্টির কারিগরদের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের মুখোমুখি করাটাই রাষ্ট্রের জন্য সমীচিন বলে প্রগতিশীল মানুষেরা মনে করেন। অভিযুক্তদের  মানসিক ভারসাম্যহীন, পাগল আখ্যা দেয়া অধিকাংশ প্রগতিশীল মানুষ ইতিবাচক ভাবে নেবে না। 

১১. আশাপ্রদ ভাবে, সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের কৃত মামলা সমূহে সন্দেহভাজন বেশ কিছু ব্যক্তিতে আইনী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থেই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার সম্পন্ন হবে বলে বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল মানুষ আশা করে।

১২. প্রানপ্রিয় বাংলাদেশে কোন কিছু অপ্রত্যাশিত ভাবে ঘটলেই আমরা ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই না করেই প্রতিবেশী দেশ এবং তার বহিঃ গোয়েন্দা সংস্থাকে ইঙ্গিত করে অদূরদর্শী কথাবার্তা বলতে থাকি, যা আমাদের ইতিহাস কিংবা ভৌগলিক অবস্থানের প্রেক্ষিতে কোনভাবেই কল্যানকর ও মঙ্গলজনক নয়। এই ধরনের প্রলাপ বাংলাদেশের জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত অত্যন্ত দক্ষ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় নিযুক্ত বিভিন্ন সংস্থাসমূহকে হেয়প্রতিপন্ন-ছোট করার প্রয়াস নয়তো?  একই সঙ্গে আমরা এটাও ভুলে যাই যে, অধিক শক্তিশালী অনেক মোড়ল পৃথিবীতে বিদ্যমান।   

১৩. বাংলাদেশ বসবাসকারী প্রায় দুই কোটি হিন্দুধর্মাবলম্বী লোক বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করে, বাংলাদেশের সার্বিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে উল্লসিত হয়, আহ্লাদিত হয়। আবার, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলে নিজেদের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, নিজেরা ছোট হয়ে যায় বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। তাদের [শতকরা ৯৭ ভাগের] বিশ্বাস, তাদের সুরক্ষা নির্ভর করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রকৃত আন্তরিকতার ওপর, কোন ভাবেই জাতিসংঘের মহাসচিব, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী’র ওপর নয়।

১৪. বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রশ্নাতীত ভাবে আদিযুগ হতে এ ভূমির ভূমিপুত্র, তারা বাংলাদেশকে অত্যন্ত ভালবাসে, বাংলাদেশের কল্যাণ চায়, বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করে, বাংলাদেশকে স্বর্গতুল্য মনে করে এদেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে জীবন অতিবাহিত করতে চায়। রাষ্ট্রের প্রতি তাদের প্রত্যাশা অত্যন্ত সীমিত, গঠনমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত। বাংলাদেশের হিন্দুরা তাদের নিজ বসতভূমিতে নিরাপদে বসবাস করতে চায়, তাদের কৃষি জমির ফলন নির্বিঘ্নে উঠানে তুলতে চায়,    তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সমূহ স্বাধীন ভাবে পালন করতে চায়, তাদের মা-স্ত্রী-কণ্যাদের সুরক্ষা চায়। বাংলাদেশের একজন হিন্দু ব্যক্তিও আশা করে না যে, চাকুরির পরীক্ষায় একটি পদের বিপরীতে দুইজন আবেদনকারী সমান নাম্বার পেলে তার চাকুরিটি হোক; তারা শুধুমাত্র আশা করে নিয়োগ পরীক্ষায় যেন ৮৫ পাওয়া ব্যক্তিকে রেখে ৮৪ পাওয়া ব্যক্তিকে নিয়োগ করা না হয়, তারা সংখ্যালঘুদের জন্য বিভিন্ন দেশের মত কোটা পদ্ধতিও আশা করে না। একই সাথে, বাংলাদেশের হিন্দুরা কোনরকম বিচ্ছিন্নতাবাদী দলভুক্তও নয়, তারা সদা সর্বদা রাষ্ট্রের মূলধারাতে সংশ্লিষ্ট।

১৫. বাংলাদেশে বেশ কিছু সংগঠন হিন্দুধর্মাবলম্বী সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় কাজ করে চলেছে। এই ধরনের সংগঠনকে পাশ্চাত্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ‘প্রেসার গ্রুপ’ বলা হয়ে থাকে। আধুনিক বিশ্বের অনেক দেশেই এই জাতীয় বিভিন্ন ‘প্রেসার গ্রুপ’ বিদ্যমান। বাংলাদেশে এই সকল সংগঠন নিশ্চিত ভাবেই রাষ্ট্রের স্বার্থে মঙ্গলময় ইতিবাচক কাজ করছে বলে সবাই বিশ্বাস করেন এবং ভবিষ্যতে আরোও ভাল করবে বলেও আশা করেন। তবে, বিবেক বর্জিত এবং আবেগতাড়িত কোন কর্মকান্ড কেউই প্রত্যাশা করেন না।

১৬. হিন্দুরা ঘটনা প্রতিরোধে নিজস্ব কোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে না পারলেও বেশ কয়েকটি প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পেরেছে, যা অবশ্যই ইতিবাচক। যেহেতু, সহিংসতা এড়াতে নিজস্ব কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি, সেহেতু, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরিবেষ্টিত অবস্থায় অতি আবেগী হয়ে কোন বক্তৃতা-স্লোগান না দিয়ে সচেতনতার সাথে বিবেক নির্ভর হলেই দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণ আনয়নে সহায়ক হবে। 

১৭. বাংলাদেশের হিন্দুদের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক অধিকার রক্ষার নিমিত্তে যারা কাজ করছেন, তারা শ্রদ্ধেয় এবং আমরা যারা কিছুই করছি না, কিংবা কোনভাবে এই ধরনের কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট নয় তাদের তুলনায় অন্তত অগ্রগন্য। তবে, নিতান্ত দুঃখজনক বিষয় যে, যারা এই অধিকার সচেতনতামূলক সংগঠনে কাজ করছেন তাদের সিংহভাগই হিন্দুধর্মের বৈশিষ্ট্যাবলী তথা হিন্দুত্ববাদ সম্পর্কে ন্যুনতম ধারণা রাখেন না। ইতিবাচক ভাবে হিন্দুধর্মের বৈশিষ্ট্যাবলী রপ্ত করার জন্য বেদের প্রাথমিক জ্ঞান, স্বামী বিবেকানন্দ এবং স্বামী প্রনবানন্দ সম্পর্কে জানার কোন বিকল্প নেই, এই জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির বর্ন কিংবা উপাসনা পদ্ধতি [শাক্ত, বৈষ্ণব ইত্যাদি] সম্পর্কযুক্ত নয়। একটি ছাচে চালের গুড়া ঢাললেই সুন্দর একটি পিঠা হয়, যেখানে-সেখানে নয়। এই জ্ঞান ব্যতিরেকে অতি উৎসাহী আবেগী লোকের সৃষ্টি হলেও প্রকৃত অধিকার সচেতন মানবিক মানুষ সৃষ্টি হবে না। 

১৮. ধর্মনিরপেক্ষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের তীক্ষ্ণ দূরদর্শী, অত্যন্ত প্রাজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য সহায়তা, ঘর-বাড়ি পুনঃনির্মান করা সহ অন্যান্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এবং তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে সব ধরনের সহযোগিতা শুরু হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তবে, রূঢ বাস্তবতা, ক্ষতিগ্রস্তরা এবং অন্যান্য সকল হিন্দুরা এই ধরনের সহযোগিতার চেয়েও হাজার গুনে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশা করেন, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল থেকে বেরিয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে জীবন যাপন করে বাংলাদেশকে আরো অধিকতর মর্যাদার আসনে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বাংলাদেশের ভূমিপুত্র হিন্দুরা বাংলাদেশের সেবায় চিরকাল নিয়োজিত থাকতে চান, আত্মবিশ্বাসের সাথে দৃঢ়ভাবে উচ্চারণ করতে চায় আমরা গর্বিত বাংলাদেশী, হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ করে, চোখের জল সঙ্গোপনে মুছে গাইতে চায় ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।’

তাঁদের সেই ন্যায়সঙ্গত ন্যুনতম অধিকারটুকু কি আমার প্রানপ্রিয় বাংলাদেশ তাঁদের নিশ্চিত করতে পারে না? 

লেখক: সুদীপ চন্দ্র হালদার

এলএলবি [অনার্স], এলএলএম

শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক,

বাংলাদেশ তাঁতী লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিন