বাংলাদেশে সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের ছাড় দেয়া হবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর সম্মেলন কক্ষে ইনস্টিটিউটে নবনিয়োগপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “সম্প্রীতির বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করেছে কিছু উগ্রবাদীরা। কখনো কখনো তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে একটি রাজনৈতিক মহল। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ এবং উন্নয়নের বাংলাদেশকে ব্যাহত করার একটি চক্রান্ত।রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য একটি মহল এ চক্রান্ত করছে। অতীতে যেমন এ জাতীয় কোন অপচেষ্টা সফল হয়নি, এখনও হবে না। সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর হাতে তাদের দমন করা হবে। বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের সম্প্রীতির রাষ্ট্র। এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অবশ্যই অব্যাহত থাকবে”।
কর্মশালায় নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পদ হোন, বোঝা নয়। আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, ঐকান্তিক ইচ্ছা ও গভীর মনোনিবেশের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলে সাফল্য আসবে। আর অলসতা ও দায়িত্বহীনতার বল্গাহীন স্রোতে নিজেকে নিমজ্জিত করলে প্রতিষ্ঠানের বোঝায় পরিণত হতে হবে।দায়িত্ব পালনে আত্মোপলব্ধি ও আত্মসমালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “সকল সৃষ্টির স্রষ্টা একজন। সে ধারাবাহিকতায় আমরা একে অপরের সাথে আত্মিকভাবে সম্পৃক্ত। আমাদের ভেতরে যেন কোনভাবে ধর্ম, বর্ণ, জেন্ডার নিয়ে হানাহানি কখনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। কেউ যেন কারো জন্য ক্ষতিকর ভূমিকায় অবতীর্ণ না হই। আর অপ্রয়োজনীয় মিথ্যাচার পরিহার করতে হবে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রতি যত্নশীল হতে হবে”।
বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএলআরআই-এর অতিরিক্ত পরিচালক মো. আজহারুল আমিন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিএলআরআই-এর বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
এস/এ