ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় আলেম-ওলামাদের এগিয়ে আসার আহ্বান ওলামা লীগের

ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় আলেম-ওলামাদের এগিয়ে আসার আহ্বান ওলামা লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতারা।

বিবৃতিতে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মুফতী শেখ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপরে যে হামলা হয়েছে তা দুঃখজনক। ইসলাম এই সমস্ত দাঙ্গাকে সমর্থন করে না। একটি গোষ্ঠী ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে দেশের সম্প্রীতি, শান্তি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। আমরা চাই না, স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র-মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে ইসলাম ও আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের যে মর্যাদা রয়েছে তা নষ্ট হোক।

বিবৃতিতে ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। ইসলাম কখন মানুষের অকল্যাণে বিশ্বাস করে না। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় মহানবী হয়রত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ সুমহান। রাসুল (সা.) ছিলেন মানুষের প্রতি উদার। ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠী বিচারে তিনি করো প্রতি জুলুম করেননি।

তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় মহানবী (সা.) আদর্শ ছিল তুলনাহীন। এইক্ষেত্রে হুদাবিয়ার সন্ধী, মদিনার সনদ ও বিদায় হজ্বের ভাষণ পাথেয়। সম্প্রীতি রক্ষায় রাসূল ( সা.) এর আদর্শের অনুসারী আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখগণকে এগিয়ে আসতে হবে। হাদিসে রয়েছে ‘হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)।

বিবৃতিতে মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী আরও বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় হযরত মুহাম্মাদ (সা.) সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। কোনো মুসলিম যেন কোনো অমুসলিমের জান ও মালের ওপর উপর হস্তক্ষেপ না করে। বরং অমুসলিমদের প্রতি সাদাচরণ করতে হবে। আলেম-ওলামা মসজিদের মিম্বার, ওয়াজ-মাহফিল, পীর-মাশায়েখ খানকা ও দরবার থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের সুমহান আদর্শ এবং।সৌন্দর্যগুলো জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ এবং সর্বজনীন শিক্ষা অনুসরণই বহুপ্রত্যাশিত শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।

বিবৃতিতে আরও সাক্ষর করেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মুখপাত্র ক্বারী মাওলানা আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েল,মুফতী মিজানুর রহমান মিজানী,মুফতী আব্দুল আলীম, মাওলানা আলতাফ চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আনোয়ার শাহ ও হাফেজ ফরিদ হোসাইন প্রমুখ।

এস/এ