৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মো. মুরাদ হাসান এমপি বলেন; যে কোন মূল্যে আমাদের ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। বাংলাদেশ কোনো ধর্ম ব্যবসায়ী, মৌলবাদীদের আস্তানা হতে পারে না। আমাদের শরীরে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত। যে কোনো মূল্যে আমাদের ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে।বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান দিয়ে গেছেন, সেই সংবিধানে ফিরে যাওয়ার জন্য সংসদে কথা বলবো আমরা। কেউ কথা না বললেও আমি মুরাদ সংসদে কথা বলবো।
রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন,বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, “প্রিয় বঙ্গবন্ধু” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, আশ্রয় কর্মসূচি’র উদ্বোধন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন; বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম। অবহেলিত,পশ্চাৎপদ,অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছেন। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগে’র চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ চিঠির আহবান করেন। সারাদেশ হতে প্রাপ্ত চিঠির সংকলনই হচ্ছে ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ বই এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন বাংলাদেশ;শেখ হাসিনা দিয়েছেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
—চীপ হুইপ ।
প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন বলেন; আজ রাসেল বেঁচে থাকলে তিনি আওমীলীগের নেতৃত্বে থাকতো। পনের আগষ্ট নিশংস হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ঘাতকরা মনে করেছিল আওয়ামীগীকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সেই দলকে সংসগঠিত করে রাষ্ট্রক্ষমতায় এনেছেন। বঙ্গবন্ধু ছারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেমন সম্ভব ছিলনা, তেমনি শেখ হাসিনা ছারাও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সম্ভব ছিলনা। শেখ হাসিনা মানবিকতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ;তিনি মানবিক না হলে পনের আগষ্ঠ ঘটনার সাথে জরিত জিয়া,২১ আগষ্ঠ ঘটনার সাথে জরিত ছিল তারেক ও খালেদা; সেই খালেদা প্রধানমন্ত্রীর করুনায় বাসায় এখন ঘুমাচ্ছে।
পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকান্ডের শিকার শহীদ শেখ রাসেল—যুবলীগ চেয়ারম্যান
দশ বছরের শিশু পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল শহীদ শেখ রাসেল। আন্তর্জাতিক সমর নীতিতে শিশু হত্যা অন্যায় বলা হয়। তাকে সেদিন মানষিক নির্যাতন করেছে। মায়ের কাছে নিয়ে যাবার কথা বলে মা,চাচা,ভাই ভাবীর রক্তের ওপর দিয়ে হাটিয়ে নিয়ে গিয়ে মানষিক নির্যাতন করা হয়েছে। একান্তজন মানুষগুলোর রক্তাত্ব দেহগুলোর উপর দিয়ে নিয়ে গিয়েছে আত্মগ্রস্ত করে তুলেছিল; তাকে হত্যার আগে অনেকবার মানষিকভাবে হত্যা হরা হয়েছে। সর্বশেষ বুলেট দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। রাসেলের জন্য যে কোনো মানবিক মানুষের মায়া আসবে আর সে মায়া থেকে ঘৃনা আসবেই।
এসময় তিনি রাসেলের গুনাবলি তুলে ধরেন যে সে কবুতরের মাংশ খেতো না,কারন সে কবুতর ভালোবাসতো তার খেলার সাথী। রাসেলের প্রিয়ছিল তার হাসু আপা। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে সৎ, নিষ্ঠাবান,মানবিক দেশ দরদি মানুষ হতো কারন সে তো বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সন্তান। ছোট্ট মানবশিশু শেখ রাসেলের দয়াবান,মানবতাবোধ, ছোট বয়সেই নেতৃত্বসুলভ আচরণ, পরোপকারী মনোভাবের অধিকারী ছিল।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগের পক্ষ থেকে অসহায়,ভূমিহীন মানুষকে গৃহদানের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে যুবলীগই প্রথম সারাদেশে প্রায় ৩৫০ টি ঘর নির্মান করে দেয়ার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।যার ফলশ্রুতিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বরে ১ম ধাপে ১০টি আশ্রয় কর্মসূচির ঘর উদ্বোধন করে আশ্রয়হীনদের হাতে ঘরের জাবি তুলে দেয়া হয় এবং আজ ২য় ধাপে ২১ টি ঘরের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
এস/এ