আনন্দময়ীর আগমনী
শিখা রানী বিশ্বাস
জগত জননী দূর্গা ত্রিলোক হারিনী মাতা
কৈলাসেতে বাজাও তোমার আগমনী বার্তা,
শরতের কাশ ফুলে পৃথিবী আলোক ময়
তোমার আগমনের বার্তা মর্তলোকে প্রবাহিত হয়।
তুমি বিশ্বলোকের জ্যোতি জগত জননী মা
তুমি সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়ঙ্কারী সদা নবীন মা দূর্গা ।
বিশ্বম্বরকে মাথায় চেপে আসবে গোধূলির ধরায়
ধৈন্য হবে কৈলাস থেকে মর্তলোকের মানব জাতি মাগো তোমার আভায়।
ঢাকের তালে ঢোলের বোলে কাসার কাশির ঘন্টায়
মা আসবে ধরাধামে অনিন্দ্য উৎফুল্লতায়।
তিলোক ভূলোক দ্যূলোক ভেদিয়া স্রষ্টার আড়স ছেদিয়া
সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়ের দেবতা মাতা রুপি দূর্গা।
অগোতির গতি অনুভব রূপে শুক্লপক্ষের দেবী
সিংহের জননী ভয়ংকর রুপিনী মা জগত ত্রিনয়নী।
অসুর দমিনী কেশরাজি জটাযুট সমযুক্তা
ত্রিনয়না রুপে মা অর্ধচন্দ্রাকার শোভিত শেখরা
ত্রিশুল খড়গ চক্র তিক্ষ্নবান হাতে শোভিত মহামায়া পদ্মাসনে দেবত্তের শ্রেষ্ঠ বর্ননায় তুমি সর্বজয়া।
দৈবশক্তির প্রভাবিত সকল বর্ন ও নারী শক্তির হুংকারে মহিষাসুর মর্দিনীর সকল দম্ভকে চূর্ণ করিবারে,
সৃষ্টির প্রতিক শংখের অবয়ব রুপিনী রুপে
চক্রের ঘোরে সমস্ত বিশ্ব সৃষ্টির আবর্তনের হারে।
তলোয়ারের বাটে আটানো মানবের বুদ্ধির ধার
সকল বৈষম্যকে সংযত করে জয়ের জোয়ার বার্তায় দেবীর হাতের তলোয়ার।
শক্তির হুংকার রুপে তীর ধনুক সমুন্নত সমাহার
সত্ত্ব, তম, রজ এই ত্রিগুনের স্বমোহিত যার।
দন্ড, আনুগত্যের ভালোবাসায় ভরপুর যে মাতার
তার হাতের অশনি দৃড়তা সংহতির প্রতিকার
জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্নিবীণায় বিষুদ্ধ চেতনায়
স্ব রুপে সর্বেসে সর্ব শক্তিতে মা তুমি সংস্থীতায়।
এস/এ