পৌর এলাকায়ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বড় সিটি করেপারেশনের মতো পৌরসভাগুলোতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে। পৌরসভার আইন অনুযায়ী পৌর এলাকায় সর্বোচ্চ সাততলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ হওয়ার কথা। অথচ সেখানে ১০তলা ১২ তলা ভবন হচ্ছে। এছাড়া কিছু পৌরসভায় মাস্টারপ্ল্যান করলেও সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পৌর এলাকায় মাঠ-পার্ক, খালি জায়গা কিছুই রাখা হচ্ছেনা।
বুধবার পৌর মেয়রদের সংগঠন মিউনিসিপ্যাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ম্যাব আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তরা।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাকিম বিল্লাহ। ম্যাবের কার্যকরি সভাপতি ও সাভার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল গণির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের এলআইইউপিসি প্রকল্পের পরিচালক মো. এরশাদুল হক প্রমূখ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, পৌরসভা গুলোতে নিবার্হী কর্মকর্তা দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। ইতিমধ্যে কিছু পৌরসভা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এখন নতুন করে ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এগুলো স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগ থেকে দিবে।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী প্রত্যেক পৌরসভা যদি পৌর কর, টোল আদায়, যানবাহনের লাইসেন্স কার্যক্রমসহ আনুষাঙ্গিক খাত থেকে টাকা আদায় করতে পারে, তাহলে তারা দ্রুত সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মাহমুদ খান বলেন, কিছু পৌরসভার মাস্টার প্ল্যান করা আছে। আবার কিছু মাস্টার প্ল্যান থাকলে সেটার এখনও অনুমোদন হয়নি। যার ফলে অপরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে। মাঠ-পার্ক ও বিনোদনের স্থান নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই। খাল ও জলাশয় ভরাট করে অপরিকল্পিত নগরায়ন হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এগুলো এক সময় সিটি করপোরেশনের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় পরিণত হবে। তাই দ্রুত মাস্টারপ্ল্যান করে সে আলোকে পৌরসভাগুলোতে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করতে হবে।
এস/এ