বুদ্ধ তুমি
সুদীপ চন্দ্র হালদার
অহিংসা পরম ধর্ম প্রচারে জীবের মঙ্গলে,
লুম্বিনী গ্রামের শালগাছ তলে বৈশাখী পূর্ণিমাতে,
শুদ্ধোধন-মায়াদেবীর পুত্ররুপে এসেছিলে ধরাতে,
পঞ্চশীল নীতিতে মানবের কল্যাণে খ্রিষ্টপূর্ব ৫৬৩তে।
বস্তুগত ঐশ্বর্যে চিরায়ত অনীহাতে তুমি,
আকৃষ্ট করিবারে রাজঐশ্বর্যে শাক্যরাজ শুদ্ধোধন,
কোলীয় সুন্দরী যশোধরায় দিলো শুভ বন্ধন,
প্রেম বন্ধনের পরিণামে পুত্ররুপে রাহুলের শুভাগমণ।
মানবতার কল্যাণে অহিংসার প্রতিষ্ঠায় যার আগমণ,
যশোধরায়-রাহুলের প্রেম তাঁরে কি বাধিতে পারে,
ছাড়ি মায়া অশ্ব কন্থকে চড়িয়া সারথি ছন্নকে লয়ে,
রাতের আধারে চলিলে তুমি জ্বালিতে আলো ভুবনে।
পরম শান্তি-পরম মুক্তি তরে বন্ধন-আকাঙখা নাশ,
অষ্টাঙ্গিক মার্গের পালনে সেই নির্বান লাভ,
সুখের উৎস হয় জীবের মন, প্রশান্তিতে তারই নিয়ন্ত্রন,
বিশুদ্ধ মনের হলে সহচরী, আনন্দের দেখা পাবে তুমি।
শুভ চিন্তায় আকৃষ্ট হয় শুভ বস্তু সর্বদাই,
নিন্দা-প্রশংসা নিয়ে নাহি ভাবে প্রাজ্ঞ জন,
শরীর-মন সুস্থের লাগি ছাড় অতীত-ভবিষৎ বিভ্রান্তি,
জাগতিক বস্তু মাত্রই বিনাশশীল-দিলে অন্তিম বাণী।
দয়াময় পাঠায় দূত কালে কালে জগতের মাঝারে,
স্থান-কাল-ধারণ ক্ষমতার তফাতে ভিন্ন সেই শিক্ষা,
চর্মচক্ষুতে ভিন্ন হলেও চিরন্তন-শাশ্বত সেই দীক্ষা,
বুদ্ধের অহিংসা ধারণে সেই আলোকের এগিয়ে চলা।
বুদ্ধ তুমি, বৈশাখী পূর্ণিমায় মোরা তোমারেই স্মরি।।