বিড়ির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিসহ দেশীয় কিছু এনজিও বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ষড়যন্ত্রমূলক অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক থেকে এই দাবিসহ মোট চার দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।
ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক মো: হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মায়া বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিড়ি দেশের প্রাচীন শ্রমঘন শিল্প। এ শিল্পে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলঙ্গ, নদী ভাঙ্গন ও চর এলাকার মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু বিদেশী সিগারেট কোম্পানী ও এদেশীয় কিছু এনজিও বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিশেষ করে বাজেটের সময় বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত শুল্কারোপের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নানান প্রস্তাব প্রদান করেন। তারা মুখে ধূমপান বিরোধী কথা বললেও বিদেশী সিগারেটকে রক্ষা করে দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করতে চায়। আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটেও বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ষড়যন্ত্রমূলক অতিরিক্ত শুল্কারোপের প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা এ ষড়যন্ত্রমূলক প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এসময় বক্তারা চলতি বাজেটে বৃদ্ধিকৃত প্রতি প্যাকেটে ৪ টাকা মূল্যস্তর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বিড়ির উপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ বিভিন্ন এনজিওর ষড়যন্ত্র বন্ধ ও বিড়িকে কুটির শিল্পের মর্যাদার দাবি জানান।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- বিড়ির ওপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা; ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ বিভিন্ন এনজিওর ষড়যন্ত্র বন্ধ করা এবং বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্পের মর্যাদা দিয়ে সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।