বিএনপির অবাধ মিথ্যাচার ফ্যাসিবাদি মানসিকতার অংশ: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপির শাসনামলে তারাই ফ্যাসিবাদি চর্চা করেছিলো। সরকারকে ফ্যাসিবাদি বলার আগে বিএনপিকে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত। তাহলে দেখতে পাবেন নিজেরাই ফ্যাসিবাদের উত্তরাধিকার বহন করছে। শেখ হাসিনা সরকার দমন-পীড়নে বিশ্বাসী নয়। গঠনমূলক সমালোচনাকে সরকার সবসময় স্বাগত জানায়।
মঙ্গলবার তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এমন রাজনৈতিক দল, যারা গত তেরো বছরে সরকারের একটি সফলতাও দেখতে পায়নি। শুধু দেখেছে কথিত ব্যর্থতা।
বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, বিআরটি, সারাদেশে ২২টি ফ্লাইওভার, ২০টির মতো আন্ডারপাসসহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ তাদের চোখে পড়ে না। শতভাগ বিদ্যুৎ সারাদেশে পৌঁছেছে। এটাও বিএনপির বিদ্বেষের কারণ। ২ হাজার ২২৭ ডলার মাথাপিছু আয়, এই বিস্ময়কর অগ্রগতি দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হয়।
ওবয়াদুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা চিহ্নিত করার কোনো উদ্যোগ বা প্রয়াস চালান না। কর্মী-সমর্থকদের ধাঁধার মধ্যে রেখে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চায় বিএনপি। সার্বক্ষণিক সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। অথচ তারা বলে তাদের কথা বলার সুযোগ নাকি কম। প্রতিদিন তাদের বক্তব্য মিডিয়ায় আসছে। সংসদে আসন সংখ্যা অনুযায়ী প্রাপ্ত সময়ের বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে। তাও নাকি কম কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে?
কথা বলার সুযোগতো অবারিত ছিলো, বিএনপি মহাসচিব বাইরে চিৎকার করারও প্রয়োজন ছিলো না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনি দলের মহাসচিব হিসেবে সংসদে গিয়ে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু নির্বাচিত হয়েও সংসদে না গিয়ে দ্বিচারিতা করেছেন।
এস/এ
