পূর্ব প্রস্তুতি থাকলে যেকোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে জনবহুল বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ প্রবণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত । বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙ্গন, খরা, শৈত্য প্রবাহ, অগ্নিকাণ্ড, বজ্রপাত এবং ভূমিধস আমাদের অতি পরিচিত দুর্যোগ । তাছাড়া সিসমিক জোনে অবস্থানের কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা থেকেও আমরা ঝুঁকিমুক্ত নই ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,ভূমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার পূর্বাভাস দেয়ার উপায় এখনো বের হয়নি । বড় ধরনের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে তা বলা মুশকিল, তবে জনসচেতনতা ও পূর্ব প্রস্তুতি থাকলে যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলা করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সে কাজটাই করে যাচ্ছে ।
রোববার ঢাকায় বাবুবাজারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২১ উপলক্ষে “ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে করণীয়” বিষয়ক সচেতনতামূলক মহড়ায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার সেন, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন,এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,আমাদের দেশের প্রধান প্রধান শহর গুলোতে মানুষ বাড়ার পাশাপাশি আবাসিক-অনাবাসিক স্থাপনা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে । কিন্তু এসব স্থাপনা কতটা মানসম্পন্ন, বড় ধরনের ভূমিকম্পে সেগুলো টিকে থাকবে কিনা এই আশঙ্কা প্রবল । ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে প্রয়োজনীয় খোলা জায়গাও নেই আমাদের বড় শহরগুলোতে । অভিযোগ রয়েছে দেশে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হয়না । ফলে মাঝারি ধরনের ভূমিকম্পও বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে । আর বড় ধরনের ভূমিকম্প ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় । তাই ভূমিকম্পের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে সব ধরনের স্থাপনা দূর্যোগ মোকাবেলার উপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে ।
তিনি বলেন,ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে দ্রুত উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অ্যাকোয়াটিক সি সার্চবোট, মেরিন রেস্কিউ বোট, মেগাফোন সাইরেনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও যানবাহন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়েছে । এ কার্যক্রম সহজ করার জন্য আরো অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে ।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম উপস্থিত ছিলেন
এস/এ