হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে: মৎস্যমন্ত্রী

হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে: মৎস্যমন্ত্রী

মিঠামইন, (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন হাওরে দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন,“হাওর অঞ্চলকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা বর্তমান সরকার করবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ স্বাভাবিক রেখে হাওর অঞ্চল কিভাবে উন্নত করা যায় এ লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়, কীভাবে মৎস্যসম্পদকে জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদে পরিণত করা যায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। হাওর অঞ্চলের মাছ কীভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করা যায়, মৎস্যজাত পণ্য কিভাবে সৃষ্টি করা যায়, এ বিষয়গুলো গভীরভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।”

শীঘ্রই কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের হাওর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “প্লাস্টিক বা অন্যান্য বর্জ্যের কারণে মৎস্যসম্পদ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাছের ডিম নষ্ট হয়, প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। হাওড়ের মধ্যে প্লাস্টিক জাতীয় বা অন্যান্য বর্জ্য কেউ যাতে না ফেলে সে জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হয়ে গেলে আমরা সবাই এর ক্ষতির মুখোমুখি হবো। তাই হাওরের পরিবেশ রক্ষায় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ ও মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আছিয়া আলম। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও সুবোল বোস মনি, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার পাল, মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিন মিঠামইন হাওরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পাবদা, গুলশা, টেংরা, চিতল, ফলি, দেশি পুঁটি, ঢেলা, হিরালু, দেশি শোল, মহাশোল, সুবর্ণ রুই ও কাতলা মাছের প্রায় ১২ হাজার পোনা অবমুক্ত করা হয়।

এস/এ