সরকার নিজ উদ্যোগে অনিয়মকারিদের আনা হচ্ছে প্রশাসনিক, আইনগত ও সাংগঠনিক শাস্তির আওতায়
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এ সাহস একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই দেখাতে পেরেছেন। বিএনপি কি একটি নজির দেখাতে পারবে? তাদের সময়কালে কোনো একজন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তাবেদারি বিএনপিরই হাতিয়ার। যারা জনগণের সমর্থনের তোয়াক্কা না করে অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যাওয়ার অলি-গলি খোঁজে। বিএনপিই তাবেদারি-বান্ধব দল। যারা নিজেরাই নিজেদের গঠনতন্ত্র মানে না। তারা কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়। জনগণের কাছে যেতে সাহস পায় না, তারাই হচ্ছে তাবেদার।
বুধবার সকালে তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশকে আত্মমর্যাদাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। আর বিএনপি বাংলাদেশকে তাবেদার ও একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আসলে আন্দোলন-বিলাস মাত্র। তাদের এসব ভাবনা কথামালায় সীমাবদ্ধ শব্দবোমা ছাড়া আর কিছু নয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা সারাদেশে সংকট দেখতে পান। কিন্তু নিজেদের রাজনীতিতে কোনো সংকট দেখতে পায় না। হাতের তালু দিয়ে কি আকাশ ঢাকা যায়? বিএনপি নেতারা খণ্ডিত-দৃষ্টি দিয়ে দেখছে সবকিছু। জনগণকে দূরে ঠেলে দিয়ে নেতৃত্ব তোষণ নীতিই এখন বিএনপির রাজনীতি। তারা সাদাকে সাদা যেমন বলতে পারেনা। তেমনি পারেনা কালোকে কালো বলতে। অপরাজনীতি বিএনপিকে গভীর খাদের কিনারে পৌঁছে দিয়েছে। তাই তারা এ বাস্তবতা এখনো উপলব্ধি করতে পারছে না।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি জননিন্দিত। জনগণের মন ও চোখের ভাষা যারা বুঝতে পারে না, তারাই ক্রমশ জনগণের আস্থার কেন্দ্র থেকে ছিটকে পড়ছে। দুর্নীতি নাকি দেশের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ করেছে, বিএনপি নেতাদের এমন কথা শুনলে জনগণ নিরবে হাসে। কারা কী বলছেন! দুর্নীতি ছিলো তাদের শিরায় শিরায়। যা থেকে এখনো তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি। দুর্নীতিকে যারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলো। লুটপাট আর অনিয়মের কন্ট্রোল রুম হিসেবে যারা হাওয়া ভবন তৈরি করেছিলো। পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের কলংকতিলক পরিয়েছিলো। তারাই এখন দুর্নীতির কথা বলেন! চোখে পর্দা না থাকলে, নির্লজ্জ হলেই কেবল এমন কথা বলা যায়।
এস/এ