দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করনের লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: মঙ্গলবার ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করনের লক্ষ্যে ১)ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা,২) সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম(সিপিপি) ইন বিল্ডিং রিস্ক-ইনফর্মড কমিউনিটি, ৩)ইনস্টলেশন স্যালাইন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট(২ টন ট্রাক মাউন্টেড) এবং ৪) শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণে ঢাকা ঘোষণা ২০১৫+বাস্তবায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা” শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদন চূড়ান্তকরন বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় । ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আতিকুল হক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোহাম্মদ নাসিম বক্তৃতা করেন । কর্মশালায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন ।
সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা শুরু করেছিলেন যাঁরা আগাম সতর্কসংকেত প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে ।বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে । এই স্বেচ্ছাসেবকদের ৫০% নারী । তিনি আরো উল্লেখ করেন, পুরো দেশ জুড়ে আধুনিক আবহাওয়ার রাডার এবং পূর্বাভাস ব্যবস্থা রয়েছে । উপকূলে ৫ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে । জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় । দুর্যোগে প্রাণহানির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব বলেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সাম্প্রতিক কালে একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে ।
সচিব আরো বলেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রাণ নির্ভর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন । ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার ব্যবস্থা শুরু করেন । উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচারে সিপিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ।
এস/এ