৪৩ সাংগঠনিক কমিটিরই মেয়াদ নেই, শিগগিরই মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ
বিশেষ প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ভাটা পরে দলগুলোর। এরই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক কমিটির কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অনেকটা ছিটকে পড়ে আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে ৪৩টি সাংগঠনিক কমিটির মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সঙ্গত কারণে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোয় সেপ্টম্বরের শেষ বা অক্টোবরের প্রথমেই মাঠে নামছেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা। এ তথ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, করোনার কারণে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও থানাসহ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কার্যক্রম অনেকটা আটকে গেছে। এরমধ্যে ঢাকার ১৫টি, চট্টগ্রামের ৭টি, ময়মনসিংহের ৫টি, রাজশাহীর ৪টি, বরিশালের ৪টি, রংপুরের ৩টি, খুলনার ৪টি এবং সিলেট বিভাগের ১টি সাংগঠনিক কমিটির মেয়াদ নেই।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যে জীবন জীবীকা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো দল। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই অক্টোবরের প্রথম থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করবো। একই সঙ্টেগ তৃণমূল নেতাদের মধ্যে দেখা দেওয়া অর্ন্তঃদ্বন্দ্ব নিরসনেও কাজ করবে বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, করোনার কারণে সংগঠনে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে রয়েছে, কিছু ভুল বোঝাবুঝি। এসব জটিলতা দূর করতে শিগগিরই মাঠে নামবেন দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। একই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত টিমওয়ার্ক করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড নির্দেশ দিয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠন ও তৃণমূল নেতাদের মধ্যে দেখা দেওয়া দ্বন্দ্ব নিরসন করা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, মহামারী অবস্থায় দল যে ভূমিকা রেখেছে, সেটিও সাংগঠনিক কাঠামোর অংশ। তবে যেসব সমস্যা রয়েছে, তা দ্রুত সমাধানে শীর্ষ নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অচিরেই দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার হবে।
এস/এ