জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর যদি লাশের ছবি থাকে দেখতে চাই
নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, রাষ্ট্রপ্রধানদের সব কার্যক্রম সবসময় স্থিরচিত্র কিংবা ভিডিওচিত্রে ধারণ করা হয়ে থাকে। যদি তারা ছবি দেখাতে পারেন তাহলে মাফ চাইবো। আর যদি চন্দ্রিমা উদ্যানের কবরে মরদেহ পাওয়া যায় বা রয়েছে বলে বিএনপি যে দাবি করছে-তাহলে লাশের ডিএনএ টেস্ট করা হোক।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ওলামা-মাশায়েখ ঐক্য জোট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি বলেন, যারা পর্দার আড়াল থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। যারা মদদ যুগিয়েছে, তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেশি-বিদেশি কারা কারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করা হোক। তদন্ত করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক। রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু যা করেছিলেন তা ইসলামের পরিপূরক, সাংঘর্ষিক নয়।
মন্ত্রী বলেন, ধর্ম এক জিনিস, রাষ্ট্রপরিচালনা আরেক জিনিস। রাষ্ট্র আইন ও সংবিধান পরিবর্তন করে। রাষ্ট্রের সংবিধান পরিবর্তন করা যায়। আল্লাহর আইন পরিবর্তন করা যায় না। সংবিধান পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু কোরান পরিবর্তন করা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, কিছু লোক মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষকে ইসলামের দোহাই দিয়ে মিথ্যাচার করছে। বঙ্গবন্ধু মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন করে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করেছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু। অথচ বঙ্গবন্ধুকে ইসলামের শত্রু বলে আখ্যা দিয়েছে একটি চক্র। সৎ লোকের শাসন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চার বছর দুর্নীতিতে পর্যদুস্ত ছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। এরা ইসলামকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যবহার করেছে।
এস