খালেদাকে বিদেশ যেতে হলে জেলে গিয়ে ফের আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা সরকারের ক্ষমতা। এ ৪০১-এর সংস্কারের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ব্যবহার করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটা ব্যবহার করে। তাতে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হয়। এটা প্রয়োগ করার আগেই রুল অব বিজনেস অনুযায়ী আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নিতে হয়। এমন একটা বিষয় নিয়ে আমার মতামত দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার ক্ষেত্রেও মতামত দিতে হয়েছে। ওনার আত্মীয়-স্বজনের পক্ষ থেকে যখন আবেদন করা হলো, তখন তার সাজা স্থগিত করে ওনাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিলাম। তার মানে তার পক্ষে যে আবেদনটা ছিল তা নিষ্পত্তি হলো। পরে ওনারা বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। আমরা কিন্তু তার অনুমতি দেয়নি। আমরা কিন্তু তাকে দু’টি শর্ত দিয়ে মুক্তি দিয়েছি। সেই শর্ত মেনেই তিনি মুক্তি পেয়েছেন। এখন পরের ধাপে তারা বিদেশ যেতে অনুমতি চায়। কিন্তু কথা যে আবেদনটি নিষ্পত্তি করা হলো সেটা পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা আইনে দেওয়া হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, তাহলে ওনাদের কী করতে হবে। সেটা হলো তাদের আবার আবেদন করতে হবে। এখন আবার আবেদন করতে হলে আগের আবেদনটি বাতিল করে ওনাকে (খালেদা জিয়া) আবার জেলখানায় গিয়ে আবার আবেদন করতে হবে। এখন এটা তো অলরেডি একবার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম ও এমআরডিআই যৌথভাবে আইন সাংবাদিকতা নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় আইনমন্ত্রী প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে আলোচনা করেন।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মাশহুদুল হক।
এস