চার বছরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিসিবির খরচ ৮৯৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা

চার বছরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিসিবির খরচ ৮৯৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা

বিশেষ প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৪ বছর পর বার্ষিক সাধারণ সভায় বসলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চলমান পরিচালনা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় হোটেল রেডিসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সভা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বে এ সভায় ১২০ জন কাউন্সিলর অংশ নেন।

কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে গত তিন বছরের আর্থিক বিবরণী দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটও অনুমোদন করা হয়। এই চার বছরে বিসিবির কর্মকাণ্ড, সাফল্য নিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তার ৮ পৃষ্ঠার হিসাব বিবরণী পড়া হয়। গত ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ তিন অর্থবছরে বিসিবি খরচ করেছে ৬৯২ কোটি, ৮৯ লাখ, ১৮ হাজার ৪৮০ টাকা। প্রধান অর্থ কর্মকর্তার প্রতিবেদনে ২০২০-২১ অর্থবছরে খরচ হয়েছে ২০৩ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৭২৬ টাকা। এটা এজিএমে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছে বিসিবি। সব মিলিয়ে অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে ৮৯৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ২০৬ টাকা।

সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সর্বসম্মতিক্রমে আমরা সব এজেন্ডা অনুমোদন করেছি। গত চার বছরের সাফল্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ভেন্যুতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। জাতীয় দলের পাইপলাইন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে বর্তমান কমিটি। সব মিলিয়ে আমরা ইতিবাচক সময় পার করেছি।

বিসিবি প্রধান আরও বলেছেন, বিগত চার বছরে মাঠের সাফল্য আমাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছে। আমাদের কার্যক্রমে সবাই খুশি। এখন ছেলেদের জাতীয় দলে অনেক খেলোয়াড়। তারা ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে। মেয়েরা এশিয়া কাপ জিতেছে। ছেলেরা ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে। তবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপ জয়।

২০০০ সালের অক্টোবরে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এজিএমে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের তাগিদ দেওয়া হলেও গত ২১ বছরে তার অগ্রগতি হয়নি। তবে এবারের এজিএমে আবারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, অতি দ্রুত আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা বাস্তবায়ন করা হবে।
এস