বঙ্গবন্ধুর নিদের্শিত পথে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ: এনামুল হক শামীম
নিজস্ব প্রতিবেদক: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন অমর তিনি। ৭৫’র খুনিরা আজ পরাজিত। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।
শনিবার দুপুরে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি আয়োজিত ‘১৫ই আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভাচুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’র চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদারের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্য অধ্যাপক ড. রফিক উদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার এ কে এম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ, সদস্য অধ্যাপক ড. এম শাহীন খান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা দেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে একটি অবিনাশী চেতনা। এই চেতনা কখনো, কোনোদিনও মুছে ফেলা যাবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আগে অনেক নেতাই দেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু চূড়ান্ত মুক্তির পথ দেখাতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে আশাহত করেননি। তিনি ধীরে ধীরে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দিয়ে। তার নেতৃত্বেই আমাদের স্বাধীনতা এসেছে।
নবীন প্রজন্মের উদ্দেশে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম বলেন, আজকে যারা আমরা বয়সের কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, তারা বঙ্গবন্ধুরকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। জাতির পিতার নির্দেশিত পথেই দেশকে পরিচালিত করছেন তাঁরকন্যা। বঙ্গবন্ধুর মতোই অসীম সাহসী, সৎ ও দেশপ্রেমী। তার সততা, দক্ষতা ও মেধা ও যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনা শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ শক্তিশালী হবে।
অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’র চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু সত্যিকার অর্থে সেদিনই বিশ্বনন্দিত নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, শুধু একটি ভাষণ দিয়ে একটি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করার ইতিহাস কেবল বঙ্গবন্ধুর বেলায়ই প্রযোজ্য। তিনি তার রাজনৈতিক ভিশন দিয়ে একটি পরাধীন জাতির যে মুক্তির রূপরেখা দিয়েছিলেন সেই দর্শনে দীক্ষিত হয়ে বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ নিঃশর্তে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিল। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন আর মানুষকে খুব সহজে আপন স্বীকৃতি দিয়েছে কালোত্তীর্ণ নেতা হিসেবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রধান দুটি লক্ষ্য ছিল। এদের মধ্যে একটি দেশকে স্বাধীন করা, দ্বিতীয়টি ক্ষুদামুক্ত সমৃদ্ধশালী দেশ গঠন। দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছিলেন। ক্ষুদামুক্ত দেশ গড়তে তিনি কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটি বিধ্বস্ত দেশকে শক্ত ভিত্তের উপর দ্বার করিয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকেরা জাতির পিতাকে হত্যা করে। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় এসে দেশকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের বুকে অনন্য মর্যাদায় আশীন হয়েছে। করোনার সংকটে যখন বিশ্ব নেতারা হিমশিম খাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি টিকা সংকট কেটে যাচ্ছে।
এস/এ