বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত, এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট: আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: আনিসুল হক আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে হত্যার শিকার হয়েছেন, সেজন্য তাকে আসামি করা হয়নি। কারণ বাংলাদেশের আইনে মরণোত্তর বিচারের কোনো বিধান নেই। সেজন্য আইনের বাইরে গিয়ে শুধু তামাশা করার জন্য একজনকে সাজা দেব না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার দায়ে যারা সর্বোচ্চ আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত, যাদের ব্যাপারে এখনো এ রায় কার্যকর করা যায়নি পলাতক থাকার কারণে। দু’জন দু’টি দেশে থাকার কারণে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। বিষদ কিছু বলতে গেলে, প্রক্রিয়াটি বিঘ্নিত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শেষ ও রায় কার্যকর করা। এছাড়া সাজার আদেশপ্রাপ্ত পলাতকদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা। তারপর যারা হত্যা করেছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে মানুষকে নামটা জানিয়ে দেওয়া।
আনিসুল হক বলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত এবং সেটার সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য (বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে গঠন করা কমিশন)’র মাধ্যমে জনসম্মুখে উপস্থান করব। করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ এলেই কমিশনের রূপ রেখাটা কি হবে। এ কমিশনের কার্যাবলি কী হবে এবং কমিশন কাদের দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত হবে। এটা করোনার প্রকোপ শেষ হলেই দেখা যাবে।
বৃহস্পতিবার গুলশানে নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এস/এ