বঙ্গবন্ধু মহীরুহে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক হয়ে উঠেছেন সহধর্মিণীর অনুপ্রেরণায়

বঙ্গবন্ধু মহীরুহে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক হয়ে উঠেছেন সহধর্মিণীর অনুপ্রেরণায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু আরও বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে বেগম ফজিলাতুন্নেছার মতো একজন মহীয়সী নারীকে জীবনসঙ্গিনী পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় পারিবারিক পিছুটান থাকলে কোনো মহৎ কাজ করা সম্ভব নয়। মূলত বঙ্গবন্ধু মহীরুহে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক হয়ে উঠেছেন তাঁর সহধর্মিণীর অনুপ্রেরণায়।

তিনি বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন, তখন বঙ্গমাতা নিজের গহনা বিক্রি করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাহায্য করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে যখন জেলে নিল, তখন বঙ্গমাতা পরিবার সামলানোর পাশাপাশি দলও পরিচালনা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দুঃখকে বুকে ধারণ করেছেন। সুখকে ধারণ করেননি। তিনি চাইলে বঙ্গভবনে থাকতে পারতেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে নিঃস্বার্থভাবে অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা দিয়েছেন। পৃথিবীর কোনো নেতার স্ত্রীর এমন নিঃস্বার্থ সহযোগিতার কথা আমরা শুনিনি। বঙ্গমাতা পৃথিবীর নারীদের জন্য অনুকরণীয় নাম। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে। বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে। তেমনি বঙ্গমাতার নামও থাকবে।

শনিবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের উদ্যোগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জাতীয় পার্টি জেপি’র সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধা।
এস/এ